Mahakumbh Mela: বিয়ের আসর মহাকুম্ভে, কঠোর নিয়ম মেনেই গ্রিস তরুণীকে বিয়ে করলেন সিদ্ধার্থ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Mahakumbh Mela: বর্তমানে প্রয়াগরাজে চলছে মহাকুম্ভের আসর। ১৪৪ বছর পর এই পবিত্র সময় পেয়েছে সকল মানুষ। তাই প্রয়াগরাজে চলছে জনসাধারণের মেলা। পাপ ক্ষয় করে পূণ্য লাভ অর্জনে ত্রিবেণীতে ডুব দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধার্থ বৈবাহিক জীবনে পদার্পণ করার জন্য সঠিক স্থান হিসেবে বেছে নিলেন মহাকুম্ভের আসরকে। চার হাত এক হল ভারতের যোগ প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ এবং গ্রিসের তরুণী পেনেলোপের। উপস্থিত ছিলেন সাধু-সন্তসহ জুনা আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর জ্যোতীন্দ্রনন্দ গিরি। মিলনের জন্য কেন এই মহাকুম্ভকে বেছে নিলেন নবদম্পতি?

Advertisements

প্রতিবছর সঙ্গমে অনুষ্ঠিত হয় কুম্ভ মেলা। তবে চলতি বছরে ১৪৪ বছর পর হওয়ায় কুম্ভ মেলা মহাকুম্ভে (Mahakumbh Mela) পরিণত হয়েছে। যা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। যা মকর সংক্রান্তির সময় থেকে অনুষ্ঠিত হয়। চলে একমাস জুড়ে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সময় সঙ্গমের ডুব দিলে পাপ ক্ষয় হয়। ফলে মানুষের ঢল নেমেছে ত্রিবেণী সঙ্গমে। সাথে উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে সাধু-সন্ন্যাসীদের। এই আবহেই নবজীবন শুরু করার জন্য পবিত্র স্থান হিসেবে ত্রিবেণী সঙ্গমকে বেছে নিলেন গ্রিসের তরুণী পেনেলোপে। ভারতের সিদ্ধার্থর বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় জুনা আখড়ায়। খুব কঠোরভাবে বৈদিক রীতি মেনে, মন্ত্র উচ্চারণের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়ে, সিঁদুর দানের মধ্য দিয়ে মিলন হয় নবদম্পতির।

Advertisements

২৬শে জানুয়ারি জুনা আখড়ায় সিদ্ধার্থ এবং পেনেলোপের বিবাহ সম্পন্ন হয়। উপস্থিত থাকে বর-কনের পরিবারসহ প্রয়াগরাজে উপস্থিত সাধু-সন্ন্যাসীরা। শুধু তাই না কন্যাদানের দায়িত্ব পালন করেন জুনা আখড়ার মহামন্ডলেশ্বর জ্যোতীন্দ্রনন্দ গিরি। দুই পরিবারের উপস্থিত গুরুজনদের আশীর্বাদ সহ সাধু-সন্ন্যাসী এবং জ্যোতীন্দ্রনন্দ গিরি মহাশয়ের পদ স্পর্শ করে আশীর্বাদের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় বিবাহ। কিন্তু হঠাৎ বিবাহের জন্য এই পবিত্র স্থান কেন?

Advertisements

আরও পড়ুন: দেশের অন্যতম ধনী ব্যাক্তি, ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান একেবারে সাদামাটা

এই বিষয়ে ভারতের যোগ প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থ শিব খান্না জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন এক পবিত্র প্রতিষ্ঠান হল বিয়ে। যা পুরুষ এবং মহিলা একে অপরের পরিপূরক বোঝায়। তাই তারা দুজনেই চেয়েছিলেন অভিনবভাবে তাদের বিয়েটা সম্পন্ন করতে। আর এই জন্যই তারা বেছে নিয়েছেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে পবিত্র স্থান প্রয়াগরাজকে। কিন্তু মহাকুম্ভের (Mahakumbh Mela) সময় কেন? এই বিষয়ে সিদ্ধার্থ বলেন, মহাকুম্ভের সময় ত্রিবেণী সঙ্গমে উপস্থিত থাকেন বহু সাধু-সন্ন্যাসীসহ মাহাত্ম্যরা। এই কারণেই তারা মহাকুম্ভের সময় বৈদিক রীতি মেনে আচার অনুষ্ঠান পালন করে তাদের নবজীবন শুরু করে। আর এই পবিত্র স্থানে পবিত্র কর্ম পালন করে অত্যন্ত খুশি নবদম্পতি।

তবে গ্রিসের তরুণী পেনেলোপে নবজীবন শুরু করার আগে ধর্ম পরিবর্তন করেন। বৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হন তিনি। এই বিষয়ে তিনি জানান, জন্মের পর থেকে তিনি বৌদ্ধ ধর্ম পালন করে আসছেন। তবে পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারেন সনাতন ধর্ম থেকেই এসেছে বৌদ্ধ ধর্ম। তাই তিনি সনাতন ধর্মে ফিরে যান। সনাতন ধর্ম গ্রহণ করে ২৬শে জানুয়ারি ভারতের যোগ প্রশিক্ষক সিদ্ধার্থর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন গ্রিসের যুবতী পেনেলোপে। জুনা আখড়াতে রয়েছেন তারা। তবে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর ২৯শে জানুয়ারি ত্রিবেণী সঙ্গমে পবিত্র ডুব দিয়ে নতুন জীবনে পা রাখেন নবদম্পতি পেনেলোপে এবং সিদ্ধার্থ। নতুন জীবনের জন্য অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানান সেখানে উপস্থিত সাধু-সন্ন্যাসীরা।

Advertisements