বাংলায় কিভাবে কত দফায় কবে ভোট! কি পরিকল্পনা কমিশনের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা আবহে নির্বিঘ্নে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নির্বাচন সমাপ্ত করা হলো মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে নির্বাচন কমিশন এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিহারের নির্বাচনে সফল হয়েছে। বিহারের নির্বাচনে যেখানে কমিশনের আশঙ্কা ছিল ভোটের হার কমতে পারে, সেই জায়গায় বাস্তবে ভোটের হার বাড়ায় তারা উৎসাহিত হয়ে সেই অভিজ্ঞতাকে পশ্চিমবঙ্গের ভোটের কাজে লাগাতে চাইছে। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।

Advertisements

Advertisements

অন্যদিকে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গণ টিকাকরণ অভিযান শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও তা অনেকটা সময়সাপেক্ষ। সেই জায়গায় গণ টিকাকরণ সমাপ্ত হওয়ার দিকে না তাকিয়ে নির্ধারিত সময়েই বাংলা সহ অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও কেরলের ভোট প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে কমিশন। এই পাঁচ রাজ্যে ভোটের ক্ষেত্রে বিহারের নির্বাচনের মতোই বিধিমালা লাগু করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

বাংলার বিধানসভা ভোটের পরিকল্পনা

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বাংলায় এপ্রিলের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে সাত দফায় বাংলার বিধানসভা নির্বাচন করার কথা ভাবছে। পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। গত বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় ২৮ হাজার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বাড়াতে চলেছে তারা। ভোট গ্রহণ কেন্দ্র বাড়ানোর পিছনে নির্বাচন কমিশনের যুক্তি হলো ভিড় এবং সংক্রমণ এড়িয়ে চলা। অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৭৮ হাজারের সাথে যুক্ত হতে চলেছে আরও ২৮ হাজার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র।

নির্বাচন কমিশন চাইছে মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে নির্ঘণ্ট সামনে আনার। যাতে করে এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া সম্ভব হয়। এরপর মাসখানেকের মধ্যে সমস্ত দফায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার পর মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফলাফল প্রকাশ করার লক্ষ্যে ছুটছে কমিশন।

গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়েছিল। আর চলতি বছরও সেই সাত দফায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া চালানোর লক্ষ্যে কমিশন এগোলেও দফা সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের উপর নির্ভর করে। কারণ একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আরও চারটি রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে।

Advertisements