লকডাউনের সময়সীমা বাড়ার বিপুল সম্ভাবনা, মুখ্যমন্ত্রী জানালেন কতদিন সাবধানে থাকতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে শুরু হওয়া ২১ দিনের লকডাউন শেষ হবে আগামী ১৪ ই এপ্রিল। তবে এই লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হবে নাকি নির্ধারিত দিনে শেষ করা হবে সেই প্রশ্নই ঘুরছে আমজনতার মুখে মুখে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বেশিরভাগ মানুষ লকডাউনকে আরও বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। শুধু সাধারণ মানুষ নন ইতিমধ্যেই লকডাউন বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। আর এনিয়েই বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেন।

অন্যদিকে বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।আর এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দেন, আমাদের কতদিন সাবধানে থাকতে হবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমাদের অন্ততপক্ষে ৪৯ দিন সাবধানে থাকতে হবে। আর এই কটা দিন সাবধানে কাটিয়ে দিতে পারলেই বিপদ অনেকটা কেটে যাবে।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “এ বিষয়ে আমি বিশেষজ্ঞদের মতামত পড়েছি। তবে এর সত্যতা আমার জানা নেই। কারণ আমি কোন এক্সপার্ট নই।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “২৪ শে মার্চ থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এরপর থেকে ৪৯ দিন হল ১৯ শে মে। অর্থাৎ ১৯ শে মে পর্যন্ত আমাদের সাবধানে থাকতে হবে।”

প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্প্রতি পরামর্শ দিয়েছে, ৪৯ দিন সঠিকভাবে লকডাউন কার্যকর থাকলে তবেই ভাইরাসের সংক্রমণ শৃংখল ভেঙ্গে দেওয়া সম্ভব হবে। এই সমস্ত সংস্থা এও জানিয়েছে, যদি ১৫ই এপ্রিল লকডাউন তুলে দেওয়া হয় তাহলে ২১ দিনের এই যে সাফল্য, সেই সাফল্যও জলে মিশে যেতে পারে। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা লকডাউন বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, “এখন লকডাউন চলাকালীন যেমন সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে, আগামী দিনেও লকডাউন বাড়ালে সেই দুর্ভোগ থাকবে। আর লকডাউন বাড়ালেও আমরা তা মানবিক ভাবেই দেখব। কড়াকড়ি করা হলেও বাড়াবাড়ি করবো না।”

তবে এই লকডাউন কতদিন বাড়বে তা এখনই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। এ বিষয়ে আগামী শনিবার প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তারপরেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কতদিন লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।