নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কমেছে ঠিকই, তবে করোনা এখনো চলে যায়নি। এর পাশাপাশি রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই বিধি-নিষেধের রাশ সম্পূর্ণ আলগা করতে চায়ছে না রাজ্য সরকার। এখনো পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে লোকাল ট্রেন, পাশাপাশি গণ পরিবহনের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াতের নির্দেশ রয়েছে।
তবে এসবের পরেও প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে দুটি জিনিস। একটি হল স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে সাধারণ বেশকিছু মানুষ এবং পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানো এবং অন্যটি হলো রাতে একশ্রেণীর মানুষের বেলেল্লাপনা। দিন কয়েক আগেই রাতের এই এক শ্রেণীর মানুষদের বেলেল্লাপনা রুখতে কঠোর বিধি নিষেধের পথে হাঁটার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে। তবে তা সত্ত্বেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বহু মানুষই বিধি পালন করছেন না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও কঠোর শাস্তির বিধান দেওয়া হল।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলা প্রশাসনকে আরও কঠোর হাতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাত্রি ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত যে বিধিনিষেধ রয়েছে সেই বিধি-নিষেধ আরও কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নাকা চেকিং থেকে শুরু করে আবগারি দপ্তরকে নামানোর। রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। আন্তঃরাজ্য সীমান্ত এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যসচিবের নির্দেশ অনুযায়ী যেভাবেই হোক এই নাইট কার্ফু কড়া হাতে কার্যকর করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কেউ যদি আইন ভঙ্গ করেন তাহলে তাকে জরিমানা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রাতে ঘোষণা করা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জরুরী দরকার ছাড়া বাইরে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য কঠোর থেকে কঠোরতম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।