নিজস্ব প্রতিবেদন : রান্নার গ্যাস (Cooking Gas) এখন প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। তবে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে রান্নার গ্যাস দেওয়া হয় তা হল LPG। আবার যানবাহনের ক্ষেত্রে যে গ্যাস ব্যবহার করা হয় তা হল CNG। কিন্তু এসবের দাম নিয়ে হামেশাই গ্রাহকদের মধ্যে নানান অভিযোগ তুলতে দেখা যায়। অভিযোগ তোলা হয়ে দাম অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকার জলের দরে রান্নার গ্যাস দেওয়ার জন্য বৈঠক সেরে ফেলল নবান্নে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মাস কয়েকের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এলপিজি, সিএনজির থেকে সস্তায় রান্নার গ্যাস বা যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহৃত গ্যাস পাওয়া যাবে। এই বিষয়ে আগেই রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্মতি মিলেছে এবং সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেললেন GAIL রাষ্ট্রয়াত্ত সংস্থার প্রতিনিধিরা। আর এই সংস্থার হাত ধরেই এলপিজি ও সিএনজির থেকে সস্তায় পাওয়া যাবে PNG বা পাইপড ন্যাচারাল গ্যাস।
GAIL হলো দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা। ইতিমধ্যেই এই সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পাইপ লাইন পাতার কাজ চালাচ্ছে। সংস্থার তরফ থেকে রাজ্যে ২৪৩৩ কোটি টাকার পাইপলাইন প্রকল্পের কাজ চালানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলেই পাইপ লাইনের মাধ্যমে একদিকে যেমন বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবে রান্নার গ্যাস, ঠিক সেই রকমই আবার পাইপলাইনের মাধ্যমেই গাড়িতে ব্যবহৃত গ্যাস চলে যাবে বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে।
আরও পড়ুন ? Infosys: চাকরি নিয়ে দুর্দান্ত সুখবর দিল ইনফোসিস! ১৬-২০ হাজার কর্মী নিয়োগের মেগা ঘোষণা
পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। ওই জেলার দুর্গাপুরের সেইল কো অপারেটিভ কলোনিতে থাকা কিছু বাড়িতে এমন কানেকশন দেওয়া হয়েছে। যারা কানেকশন নিয়েছেন তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খরচ অনেকটাই কম পড়ছে। মূলত এটিই রাজ্যের প্রথম এলাকা যেখানে এমন পাইপ লাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে।
পরবর্তীতে পাইপলাইন পাতার কাজ শেষ হলে প্রথম দফায় বাড়ি বাড়ি কানেকশন দেওয়া শুরু হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এরপর ধীরে ধীরে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতে পরিষেবা পৌঁছে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।