নিজস্ব প্রতিবেদন : হাজার জল্পনার মাঝে শুক্রবার পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র দেন। সেই ইস্তফাপত্র গৃহীত হয় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের দ্বারা। ইস্তফাপত্র গ্রহণের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জরুরী বৈঠক করেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সাথে। প্রশ্ন উঠতে থাকে বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া পদগুলি কে সামলাবেন?
শুভেন্দু অধিকারীর ছেড়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন দপ্তরের দায়িত্বে কারা আসতে পারেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসের মত নামের সম্ভাবনা তৈরি হয়। সেচ দপ্তরের দায়িত্ব যেতে পারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে এমন সম্ভাবনাও তৈরি হয়। তবে পরবর্তীতে সেই সব সম্ভাবনা পাল্টে যায়।
ইতিমধ্যেই ফিরহাদ হাকিমের কাছে রয়েছে পুর, নগরোন্নয়ন দপ্তরের ভার। পাশাপাশি অরূপ বিশ্বাসের কাঁধেও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দপ্তর ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ। আর এই সকল গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব ভার থাকার পাশাপাশি এই সকল নেতাদের কাছে রয়েছে দলের সংগঠনের দায়িত্ব। তাহলে!
নিজের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করার পর সিদ্ধান্ত নেন সেচ, পরিবহন এবং জলসম্পদ এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের বন্টন ভার নিজের কাঁধে নেওয়ার। অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী ছেড়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দপ্তরের দায়িত্ব এখন থাকছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে।