রাজ্যে এখনও কত মানুষের শরীরে রয়েছে করোনা সংক্রমণ, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা কত? কতজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন? কতজন মারা গেছেন? এই সকল প্রশ্ন মানুষের মধ্যে অবশ্যই ঘোরাঘুরি করছে। সেই সকল প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সেই সঙ্গে এই ভাইরাসের সাথে লড়াই করে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও তিনজন, যারা বাড়ি ফিরেছেন। আর গত ২৪ ঘন্টায় কেউ মারা যায়নি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল জানিয়েছিলেন রাজ্যে ৭১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সক্রিয় রয়েছে। আর এদিন যে তথ্য তিনি পেশ করেন তা থেকে জানা যায় রাজ্যে সক্রিয় সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-তে। অর্থাৎ রাজ্যে এখনও ৮০ জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেঁচে রয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৫। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি সুখবর দেন, সেটি হল নদীয়ার তেহট্টের সংক্রামিত পরিবার নিয়ে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওই পরিবারের একসঙ্গে যে পাঁচ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল তাদের মধ্যে কেবল একটি বাচ্চার শরীরে সংক্রমণ এখনো রয়েছে। বাকিরা সকলেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই বাচ্চার মাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিন্তু যেহেতু বাচ্চা এখনো হাসপাতলে তাই তিনি বাড়ি যেতে পারেননি। বাচ্চার সাথে হাসপাতালে রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ন’টায় যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ১০৩। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সুস্থ হয়ে ওঠে মানুষের সংখ্যা ১৬, মৃতের সংখ্যা ৫। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে এখনও সক্রিয় করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা ৮২।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে করোনা ভাইরাসের স্থিতি প্রকৃতি নিয়ে আলোচনার সময় বোঝাতে চেয়েছেন, বাংলার জনঘনত্ব যে পরিমাণে রয়েছে সেই পরিমাণে সেখানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়নি। যে টুকু সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা কেবল ঘনিষ্ঠদের মধ্যে। উদাহরণ স্বরূপ কালিম্পংয়ের ঘটনা। যেখানে করোনা ভাইরাসে মৃত মহিলার পরিবারের ১১ জন সংক্রামিত হয়েছেন। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে এখনো সামাজিকভাবে সংক্রমণ ছড়ায়নি।