জাওয়াদ-এর দাপটে বৃষ্টির পাশাপাশি স্যাঁতসেঁতে বাংলা, কবে মিলবে রোদের দেখা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ যেভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল সেই আতঙ্ক দূর হয়েছে। শক্তি হারিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। যার জেরেই রবিবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে বাংলার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। আবার যে সকল জেলায় সেভাবে বৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়নি সেখানে তৈরি হয়েছে স্যাঁতসেঁতে পরিস্থিতি।

এখন যেখানে ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পার করতে চলল, অন্যান্য বছর এই সময় প্রবল ঠান্ডায় কাঁপে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলি। পাশাপাশি দক্ষিণের জেলাগুলিতেও শুরু হয়ে যায় ভরা শীতের আমেজ। সেই সময় এমন স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি করছে। শীত তো দূরের কথা বরং তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে এই নিম্নচাপের কারণে। এমত অবস্থায় সবার মধ্যেই প্রশ্ন কবে কাটবে এই পরিস্থিতি? কবে থেকে ফের দেখা যাবে রোদ, ফের কবে থেকে নামতে শুরু করবে তাপমাত্রা?

এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সোমবার যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, আর বেশী দীর্ঘায়িত হবে না এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এই নিম্নচাপ নিজের শক্তি হারাবে। এর পরেই আবহাওয়ার উন্নতি লক্ষ্য করা যাবে। আবহাওয়ার উন্নতি হলেই নতুন করে নামবে তাপমাত্রার পারদ। তবে জাঁকিয়ে শীত এখনই পড়বে না বলেও জানাচ্ছে তারা।

হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় স্থান বিশেষে হালকা থেকে মাঝারি এবং ভারী বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। মঙ্গলবার মেঘলা আকাশ থাকলেও পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে এবং বৃষ্টি কমবে। পাশাপাশি এই দিন থেকেই রোদের দেখা মিলতে পারে। পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ার পর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বর্তমান তাপমাত্রার তুলনায় দু’ডিগ্রি কমতে পারে। জাঁকিয়ে শীত পড়তে অন্ততপক্ষে অপেক্ষা করতে হবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের কারণে বাংলার বুকে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকেছে। বিপুল পরিমাণে এই জলীয় বাষ্পের কারণেই উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি কাটতে বেশ কয়েকটা দিন সময় লাগবে, তার পরেই পড়বে জাঁকিয়ে শীত। তবে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের শীত করতে বেশ কয়েকটা দিন সময় লাগলেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সপ্তাহান্তে নামবে ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি।