করোনা সংক্রামিত এলাকার নয়া তালিকা প্রকাশ করলো রাজ্য, রইলো পূর্ণাঙ্গ তালিকা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের নিরিখে পুরো রাজ্যকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রেড জোন অর্থাৎ করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। গ্রীন জোন অর্থাৎ যেখানে আজ অবধি করোনা সংক্রমণের কোন খবর পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ করোনা সংক্রমণমুক্ত এলাকা। আর অরেঞ্জ জোন অর্থাৎ যে অঞ্চলগুলিতে করোনা সংক্রমণের হার অল্প।

Advertisements

Advertisements

কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর এই চারটি জেলাতে করোনা সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি। তাই এই জেলাগুলি এখন রেড জোনে আছে।

Advertisements

অরেঞ্জ জোনের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং, নদীয়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ ও মালদা।

আপাতত আটটি জেলা রয়েছে গ্রীন জোনে অর্থাৎ গত ২১ দিনে এই জেলাগুলি থেকে কোনরকম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। এই গ্রীন জোনের মধ্যে রয়েছে যে সকল জেলা সেগুলি হলো আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর ,দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম।

কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যার নিরিখে রাজধানী কলকাতা সবার উপরে আছে। এখানে কনটেনমেন্টের সংখ্যা ২২৭। এরপরে আছে উত্তর ২৪ পরগনা, এরপরে রয়েছে হাওড়া, এরপর পূর্ব মেদিনীপুর।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন অরেঞ্জ জোন অর্থাৎ কিছুটা বিপদ মুক্ত এলাকাগুলিতে লকডাউনের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। গ্রীন জোন অর্থাৎ তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে সংক্রমণমুক্ত থাকা এলাকাগুলিতে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। কিন্তু যে এলাকাগুলি রেড জোনে রয়েছে সেই এলাকাগুলিতে কঠোরভাবে লকডাউনকে মেনে চলতে হবে। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা যেন কোনো অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে না বের হোন। সেখানকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় খাবার দাবার থেকে শুরু করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাড়িতেই সরবরাহ করা হবে। সাত দিন অন্তর অন্তর যাবতীয় অবস্থা পর্যালোচনা করে পুনরায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, আপাতত ২১ শে মে পর্যন্ত এই ব্যবস্থায় চলবে রাজ্যে। দয়া করে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনুন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। আর বাড়ির বাইরে বেরোলে অবশ্যই মাস্ক পড়বেন।

Advertisements