নিজস্ব প্রতিবেদন : ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পরিচয় শ্রমিক ও অন্যান্যদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য সরকারদের দাবি দাওয়া অনুযায়ী কেন্দ্রের থেকে ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত দুটি ট্রেন এসে পৌঁছেছে, একটি কেরল ও অন্যটি রাজস্থানের আজমের থেকে। কিন্তু বাকি শ্রমিকদের কি হবে? এ নিয়েই পুনরায় প্রশ্ন তুললেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী।
অধীর চৌধুরী জানান, “দুটি ট্রেনে ২৫০০ জন বাংলার অধিবাসী বাংলায় ফিরেছেন। কিন্তু বাকিরা এখনো ফিরতে পারেননি। এ বিষয়ে আমি বুধবার রাত্রি ৯:১৫ নাগাদ রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে ফোন করি। জানতে চাই এখন এই মুহূর্তে আর কোন ট্রেন পশ্চিমবঙ্গের জন্য রওনা হচ্ছে কিনা। কিন্তু তিনি জানান, আর কোন ট্রেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে চাওয়া হয়নি। বুধবার পর্যন্ত আর কোন ট্রেনের আবেদন আসেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে।”
অধীর চৌধুরী এও জানান, “ব্যাঙ্গালোর থেকে একটি ট্রেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়ার কথা জানানো হয়।কিন্তু সেক্ষেত্রেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, সাতদিন পর ভেবে বলা হবে ট্রেন লাগবে, না লাগবে না। রেল মন্ত্রকের কাছে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কোনো অনুমতি আসে নাই। রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে বারবার ট্রেনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কিছুই জানানো হয়নি।”
অধীর চৌধুরী তাঁর কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো সাংবাদিক যদি রেল মন্ত্রকের দপ্তরে ফোন করে জানতে চান আমি যে কথাগুলি বলছি সেগুলি ঠিক না ভুল, তা জেনে নিতে পারেন।”
এরপরেই তিনি জানান, “আমি অবাক হচ্ছি রেলমন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ট্রেন দিতে চাইছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিতে চাইছেন না।” তাঁর অভিযোগ, “বাংলার সরকার অনুভূতিহীন, মিথ্যাচার বন্ধ করে স্পষ্ট করে বলুন আপনি পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চান না।”
অধীর চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি কি পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে চাইছেন না? সকল শ্রমিকদের কি ফেরানো হয়ে গেছে? আর যদি না হয়ে থাকে তাহলে আপনার পরিকল্পনা কি আমাদের কেউ জানান, বাংলার মানুষকে জানান। অথবা সবাইকে স্পষ্ট করে বলে দিন আমরা শ্রমিকদের ফিরাতে পারবো না।”