নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে উত্তরোত্তর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এমনিতেই অবস্থা কাবু। এরপর আবার দোসর হয়ে হাজির হচ্ছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় যশ। ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করতে গিয়ে করোনা মোকাবিলায় যেসকল কড়া বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছিল তা কিছুটা হলেও লাঘব করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো এই ঘূর্ণিঝড় কালীন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি কি ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর রবিবার নবান্নের তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যেখানে বলা হয় চাষের কাজ, উদ্যানপালনের কাজ, কৃষি সংক্রান্ত যন্ত্রাংশ, সার নিয়ে যাতায়াতের জন্য পরিবহণ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বন্যা এবং বর্ষা মোকাবিলায় এই পর্বে কোনরকম বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না।
তবে এই সকল ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কঠোর করোনা বিধি যাতে সকলে মেনে চলেন তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের উপর। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
[aaroporuntag]
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় যশ সবথেকে বেশি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকাতে আছড়ে পড়বে বলে অনুমান করছে হাওয়া অফিস। আগামী ২৬ তারিখ এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। আর তার আগেই সর্তকতা অবলম্বন করতে শুরু করেছে রাজ্য ও কেন্দ্র।