Property Rate: যত দিন যাচ্ছে ততই সর্বদিক থেকেই উন্নতি ঘটছে দেশ তথা রাজ্য জুড়ে। পাশাপাশি চড় চড় করে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মুদিখানা থেকে শুরু করে সবজি, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সবই আকাশছোঁয়া দাম। আর এই পরিস্থিতিতেই সম্পত্তির মূল্য (Property Rate) নির্ধারণ নিয়ে নয়া খবর শোনালো রাজ্য সরকার। যা শুনে মাথায় হাত মধ্যবিত্তদের।
খবর রয়েছে খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে রাজ্যের সম্পত্তি মূল্য নির্ধারণের নতুন নিয়ম। রাজ্য বিধানসভায় চলছে অধিবেশন। আসন্ন সোমবারে সেই চলতি বৈঠকে পেশ হতে চলেছে সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ বিষয়ক দুই বিল। সেই দুই বিল হল ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন বিল, ২০২৪’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল বিল, ২০২৪’। যে বিলের মাধ্যমে ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে আগামী ৫ বছরে বার্ষিক সম্পত্তির মূল্য (Property Rate)। ৫ বছর ছাড়া যদি সম্পত্তি মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া ঠিকঠাক না হয় তাহলে এই নিয়ম কার্যকরী হবে। অর্থাৎ এই নিয়মের মাধ্যমে পূর্বের মূল্যের উপর বছর প্রতি ১০% করে মূল্য বৃদ্ধি করা হবে। যার প্রভাব পড়বে সাধারণ নাগরিকদের উপর। দিতে হবে বাড়তি কর।
প্রসঙ্গত ভ্যালুয়েশন বোর্ডের মাধ্যমে রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা হয়। প্রতি ৫ বছর অন্তর ভ্যালুয়েশন বোর্ডের দ্বারা সম্পত্তির বার্ষিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়। আর সে মূল্যের ভিত্তিতেই সাধারণ নাগরিকদের সম্পত্তি অনুযায়ী কর আরোপ করে পুর কর্তৃপক্ষ। তবে বর্তমানে সম্পত্তির আকার আয়তন, সম্পত্তির উপর তৈরি বাড়ির ব্যবহারের ধরন বদলাচ্ছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ হচ্ছে না। তাই পুর দফতর তরফে বিলে জানানো হয়েছে সম্পত্তির ব্যবহারের সাথে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করতে হবে সম্পত্তির মূল্য। ৫ বছরের সেই মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া ঠিকঠাক না হলে বছর প্রতি ১০% হারে বৃদ্ধি পাবে সম্পত্তির মূল্য।
আরও পড়ুন: বছর শেষে দুর্দান্ত উপহার নবান্নের, সরকারি কর্মচারীরা পাবেন টানা ১৫ দিন ছুটি
তবে নতুন বিল বিষয়ে বাম আমলের পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেছেন ৫ বছর ছাড়া ভ্যালুয়েশন বোর্ডের মাধ্যমে যে সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করা হয় তা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। এর ফলে ৫ বছর ছাড়া সম্পত্তির মূল্য (Property Rate) নির্ধারণ হলে এআরভির হ্রাস বৃদ্ধি হতে পারে। কিন্তু নতুন বিল অনুযায়ী সম্পত্তির মূল্য ধনী-গরীব সকলের জন্যই একই হারে বারিয়ে দেওয়া হবে। যার ফলে গরিবদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে। যা অত্যন্ত অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন বাম পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তবে অন্যদিকে নতুন বিল বিষয়ে পুর দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন সম্পত্তির কর দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন সংস্থা থাকছে যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রেট চার্ট অনুযায়ী নিজে হিসাব-নিকাশ করে কর জমা দিতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি বাম আমলে বেসরকারি সংস্থার দ্বারা সম্পত্তির মূল্য (Property Rate) নির্ধারণ করা হতো। তবে এই বিষয়ে তৎকালীন সময়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ফলে পরবর্তীকালে তৈরি করা হয় ভ্যালুয়েশন বোর্ড। যা তৈরি করে কোনো এক প্রবীণ আইএএস অফিসার। যে বোর্ডের মাধ্যমে প্রতি ৫ বছর অন্তর নির্ধারণ হয় সম্পত্তির মূল্য। তবে মূল্য নির্ধারণের পর কারোর কর বিষয়ে যদি কোনো অভিযোগ বা আপত্তি থাকত তা পর্যালোচনা করার জন্য তৈরি করা হয় ডিসপোজাল কমিটি। তবে সাম্প্রতিক আসন্ন নতুন বিল পাস হলে চাপ বাড়বে সাধারণ নাগরিকদের ওপর।