মিড ডে মিল থেকে বাদ পড়লো একাধিক পুষ্টিকর খাদ্য, রইলো তালিকা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুল বন্ধ থাকাকালীন পড়ুয়াদের প্রাপ্য মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রী অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত জানুয়ারি মাস থেকে ধাপে ধাপে মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রীর সংখ্যা বাড়ানো হয়। যুক্ত হয় পুষ্টিকর খাদ্য।

তবে বর্তমানে এই খাদ্য সামগ্রীর তালিকাতে শুরু হয়েছে কাটছাঁট। প্রতি মাসেই ধারাবাহিকভাবে কোন না কোন সামগ্রী বাদ পড়ছে তালিকা থেকে। ঠিক যেন করোনা সংক্রমণের মত শীর্ষবিন্দু ছুঁয়ে গ্রাফ নামতে শুরু করেছে। আর এই নিয়েই নানান প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

গত জানুয়ারি মাসে যে মিড ডে মিল দেওয়া হয় সেই তালিকায় ছিল চাল, আলু, ছোলা এবং সাবান। মে মাসে সেই তালিকায় সয়াবিন এবং চিনি সংযুক্ত হয়ে মোট সাতটি সামগ্রী দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরেই জুন মাস থেকে ফের কমতে শুরু করে তালিকায় সামগ্রীর সংখ্যা। সামগ্রীর তালিকা দাঁড়ায় ছয়ে। সেপ্টেম্বর মাসে এই তালিকা থেকে আরও একটি সামগ্রি বাদ পড়লো এবং পাঁচটি সামগ্রী দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে সামগ্রীর পরিমাণও।

সেপ্টেম্বর মাসে পড়ুয়াদের যে সকল মিড ডে মিল সামগ্রী দেওয়া হবে সেগুলি হল চাল (২ কেজি), আলু (২ কেজি, মূল্য ৩২ টাকা), চিনি (২৫০ গ্রাম, ১১ টাকা), মুসুর ডাল (২৫০ গ্রাম, ২৫ টাকা) এবং একটি সাবান যার মূল্য ১০ টাকা। অর্থাৎ চাল বাদে পড়ুয়াদের মিড ডে মিল প্রতি বরাদ্দ হচ্ছে ৭৮ টাকা।

মিড ডে মিল-এর তালিকা থেকে দিনদিন বরাদ্দ কমে যাওয়ায় শিক্ষক মহলের একাংশ পড়ুয়াদের পুষ্টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অনেকের মতে, স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় পড়ুয়াদের খাবারের সপ্তাহে দু তিন দিন ডিম দেওয়া হতো। এখন তারা তা আর পাচ্ছে না। প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়ারা পুষ্টির অভাবে ভুগছে। এর পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, স্কুল খোলা না থাকায় বেঁচেছে রান্নার খরচ, তা সত্ত্বেও কেন কমছে বরাদ্দ?

জানা যাচ্ছে, স্কুল খোলা থাকলে এক একজন প্রাথমিক পরিবার ক্ষেত্রে মিড ডে মিলের খরচ বাবদ প্রতিদিন খরচ হতো ৪ টাকা ৯৭ পয়সা। সে ক্ষেত্রে মাসে ছুটি বাদে খরচে দাঁড়াতো ৯৯ টাকা ৪০ পয়সা। উচ্চ প্রাথমিকে পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে দৈনিক খরচ ৭ টাকা ৪৫ পয়সা। ছুটি বাদে মাসে খরচ দাঁড়াতো ১৪৯ টাকা। খরচ নেমে এসেছে মাত্র ৭৮ টাকায়।