নিজস্ব প্রতিবেদন : নভেম্বর মাসের ১১ তারিখ শহরতলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়। তবে শহরতলীতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও ব্রাত্য থাকে রাজ্যের অন্যান্য অংশ। আর এই জায়গায় এবার রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে ট্রেন পরিষেবা চালু করার সম্মতি দিলো রাজ্য সরকার। শীঘ্রই এই সবুজ সংকেত রেল বোর্ডের কাছে পৌঁছে যাবে। যদিও রেল বোর্ডের দাবি শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনরকম চিঠি তাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি।
ট্রেন পরিষেবা নতুন করে শুরু করা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, ধাপে ধাপে পরিষেবা শুরু না করা হলে সংক্রমণের ধাক্কা সামলানোর মুশকিল হয়ে যাবে। যে কারণে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কালীপুজোর আগে এক দফা ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে। আর এরপর ছট পুজোর পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম দফায় কলকাতা এবং শহরতলীতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার হলেও ব্যান্ডেল-কাটোয়া, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ, বর্ধমান-রামপুরহাট, সিউড়ি, বোলপুর, বর্ধমান-আসানসোল এই সকল নন-সাবার্বান রুটগুলিতে ট্রেন পরিষেবা পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আর রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় সবুজ সংকেতের পরেই মনে করা হচ্ছে খুব দ্রুত এই সকল রুটগুলিতে পুনরায় রেল পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
অন্যদিকে এই সকল রুটগুলিতে পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু না হওয়ায় ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্টেশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলি পুনরায় ট্রেন পরিষেবা চালু করার দাবিতে ডেপুটেশন দিচ্ছে। ফলতো স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ার পাশাপাশি রেলের অন্দরেও চাপ তৈরি হচ্ছে।