দুর্ঘটনার নামগন্ধ থাকবে না! এমনই আশ্চর্য দুটি রাস্তা তৈরি হবে রাজ্যে

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি দিন দিন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা। আবার যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যাও। যানবাহন নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর পাশাপাশি মানুষের অসচেতন মূলক কাজকর্মের জন্য দুর্ঘটনা (Road Accident) বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করেন। তবে সরকারের কর্তব্য সবসময় রাজ্য অথবা দেশের মানুষদের রক্ষা করা।

Advertisements

মূলত দেশে এবং রাজ্যে যাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যায় তার জন্য সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নিরাপদ রাস্তা তৈরি করার। সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিদেশের ধাঁচে রাজ্যে নিরাপদ রাস্তা তৈরি করার কাজ একপ্রকার শুরু করে দেওয়া হলো। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে দুটি এমন রাস্তা তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যে দুটি রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা শূন্যতে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

Advertisements

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিকভাবে যে দুটি সেফ করিডর তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি রাস্তা হল বিষ্ণুপুর থেকে আরামবাগ। যদিও অন্য একটি রাস্তা কোথায় তৈরি করা হবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যের দুটি সেফ করিডর রাস্তা তৈরি করা হবে তা এক প্রকার চূড়ান্ত। এই সকল রাস্তায় দুর্ঘটনার সংখ্যা ০ তে নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের।

Advertisements

আরও পড়ুন ? কলকাতা হবে লন্ডন! রাস্তায় আসছে আমূল পরিবর্তন! রাজ্যে তৈরি হবে ওয়াটারপ্রুফ রাস্তা

দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির হার গড়ের থেকে বেশি রাস্তাগুলির দৈর্ঘ্যের কিছু অংশ সেফ করিডর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। চিহ্নিত করা এই সকল এলাকার নিরাপত্তা উন্নত করা হয়। এমনকি চিহ্নিত করা এই সকল এলাকায় যাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো যায় তার জন্য ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়ে থাকে। মূলত বেপরোয়াভাবে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্যই এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বিষ্ণুপুর থেকে আরামবাগ পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার রাস্তা এমন সেফ করিডরের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এক বছরের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। এই রাস্তায় রাস্তার ধারে তৈরি করা হবে ফুটপাথ এবং বাড়ানো হবে সিগন্যালিং ব্যবস্থা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে থাকবে গার্ড রেল, জেব্রা ক্রসিং ইত্যাদি। এর পাশাপাশি মসৃণভাবে রাস্তা মেরামত করা হবে। রাস্তার নির্দিষ্ট কিছু দূর অন্তর অন্তর রাখা হবে অ্যাম্বুলেন্স এবং কয়েকগুণ বাড়ানো হবে পুলিশের সংখ্যা।

Advertisements