নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এখন পশ্চিমবঙ্গের আনাচে-কানাচে তৈরি হচ্ছে একের পর এক শপিং মল (Shopping Mall)। এই সকল শপিং মলে এক ছাদের তলাতেই পাওয়া যায় সমস্ত রকম জিনিসপত্র। যে কারণে এখন শপিংমলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এছাড়াও এই সকল শপিংমলে অনেক সস্তায় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। শপিং মল তৈরির দৌড়ে বিভিন্ন সংস্থা যেমন হাত বাড়াচ্ছে ঠিক সেই রকমই এবার হাত বাড়াবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার (West Bengal Government)।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে গত মাসেই মল তৈরি করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর তার ওপর ভিত্তি করেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ইউনিটি মল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত যা খবর তাতে ইউনিটি মলে রাজ্যের ভিত্তিতে ৩৬ টি স্টল থাকতে হবে। থাকবে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা আলাদা স্টল। এই ধরনের ইউনিটি মলের জন্য কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে।
কলকাতার ইএম বাইপাসের ধারে এমন শপিং মল বা ইউনিটি মল তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলে জানা যাচ্ছে। এই ইউনিটি মল তৈরি করার জন্য ১৫৯ কোটি টাকা খরচ হবে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের অধীনে থাকা ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে এমন শপিংমল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের তৈরি এই শপিংমলে জিআই তকমা যুক্ত জিনিসপত্র সস্তায় পাওয়া যাবে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের জনপ্রিয় সব জিনিসপত্রও মিলবে এই শপিংমলে। নোনাডাঙ্গা আদর্শ নগর এলাকায় প্রায় দেড় একর জমির উপর এমন ইউনিটি মল তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই ধরনের শপিংমল বা ইউনিটি মলে জাতীয় ও আঞ্চলিক ঐক্য তুলে ধরার চেষ্টা চালানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভিন রাজ্যেও এই ধরনের শপিং মল তৈরি করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
দেশীয় পণ্যের প্রচারের জন্য এই ধরনের শপিং মল তৈরির পরিকল্পনা। এই ধরনের শপিংমল তৈরি হলে হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা তাদের হাতে তৈরি জিনিসপত্র আরও বেশি করে বিক্রি করার সুযোগ পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে হস্তশিল্পকে বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করে থাকে। তবে রাজ্যে এই ধরনের একটি শপিংমল হওয়া মানে হস্তশিল্পীরা আরও একটু মাইলেজ পাবেন।