লকডাউন অমান্য করলেই হবে মামলা, পুলিশকে ছাড়পত্র দিলো নবান্ন

নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় লকডাউনের নিয়ম সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলে শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে কড়া চিঠি দেওয়া হয় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। পাশাপাশি কেন্দ্রের চিঠির পর রাজ্য সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তাও রিপোর্ট আকারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র।

রবিবার নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের (২০০৫) শর্ত অমান্য করলে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর থেকে শুরু করে উর্ধ্বতন সমস্ত কর্তাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার দেওয়া হল। (সূত্র)।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল তাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ ছিল, রাজ্য সরকার অনাবশ্যকীয় বেশকিছু পরিষেবায় অনুমতি দিয়েছে। যে কারণে কলকাতার নারকেলডাঙা, রাজাবাজার, তপসিয়া, মেটিয়াবরুজ, গার্ডেনরিচ, ইকবালপুর, মানিকতলা মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে লকডাইনের নিয়ম না মেনেই ভিড় জমাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। মাছ, মাংসের দোকানে অজস্র লোকের ভিড় জমছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে চলছে ঠেলাঠেলি। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় ধর্মীয় সম্মেলন চলছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

লকডাউন না মানলে কোন কোন ধারায় কি কি শাস্তি হয়?

আইন অনুযায়ী, লকডাউনের এই নীতি কেউ অমান্য করলে অথবা জোরপূর্বক মানতে না চাইলে তার বিরুদ্ধে ১৮৮, ২৬৯, ২৭০, ২৭১ এই চারটি ধারায় মামলা রুজু হবে। সরকারি নির্দেশিকা না মানার জন্য ১৮৮ ধারা। সংক্রামক ব্যাধি ছড়ানোর জন্য ২৬৯ ধারা, যে ধারা জামিন অযোগ্য। এছাড়াও এই একই অপরাধের জন্য ২৭০ ধারাও প্রয়োগ করা হতে পারে, যাও কিনা জামিন অযোগ্য। পাশাপাশি এই ধারা অনুযায়ী দুই বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে। আর কোয়ারেন্টাইনের যে নির্দেশিকা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে, যাদের উপর দেওয়া হচ্ছে, তারা যদি সেই কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশিকা অমান্য করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ২৭১ ধারা লাগু হবে।