লাল নীল গাড়ির বাতি নিয়ে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেবাঞ্জন কাণ্ডের পর রাজ্যে একাধিক ভুয়ো আমলা থেকে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ধরা পড়েছেন। যত দিন যাচ্ছে ততই এই তালিকা লম্বা হচ্ছে। তারা মূলত লাল নীল বাতির গাড়ি নিয়ে এমন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছেন। ভিআইপিদের জন্য ব্যবহৃত এই সকল গাড়ির অপব্যবহার নিয়ে হাইকোর্ট ক্ষুব্দ হয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার এই সকল গাড়ি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।

কোন কোন ব্যক্তিরা লাল নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন তার তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। পাশাপাশি এই সকল তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের গাড়িতে পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে একটি হলোগ্রাম লাগানো স্টিকার দেওয়া হবে। যেটিও গাড়িতে লাগাতে হবে যে সকল ব্যক্তিরা এই তালিকায় রয়েছেন তাদের।

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের ১৪ জন পদাধিকারীরা তাদের গাড়িতে বাতি ব্যবহার করতে পারবেন। এই তালিকায় যারা রয়েছেন তারা মন্ত্রিসভার মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীরা।

মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, ডিভিশনাল কমিশনার, রাজ্য পুলিশের ডিজি, ডিজি দমকল, আয়কর ও শুল্ক দফতরের কমিশনার, পুলিশের আইজি ও ডিআইজি, জেলার জেলাশাসকরা বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন।

মিউনিসিপাল কমিশনার, রাজ্য মিউনিসিপাল কমিশনা, বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, সাব ডিভিশনাল অফিসার ও পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসাররা, পুলিশের প্যাট্রোল গাড়িগুলিতে ব্যবহার করা যাবে বাতি।

রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের তরফ থেকে সম্প্রতি এই তালিকা প্রকাশ করার পর স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তালিকায় যারা রয়েছেন তার বাইরে কেউ বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন না।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ জুন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাতি লাগানো গাড়ির অপব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মত কারা এই বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। সেই সময় মোট ১৯ ধরনের পদাধিকারীকে লাল নীল বাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি একাধিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর সেই অনুমোদন পুনর্বিবেচনা করা হলো এবং নতুন তালিকা প্রকাশ করা হলো।