এই সকল কার্ড ছাড়াও হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ফর্ম ফিলাপ, ঘোষণা রাজ্যের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য চালু করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় নথিভুক্ত হওয়া মহিলাদের মাসে মাসে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত অর্থ পাঠানো হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।

Advertisements

প্রকল্পের ঘোষণা অনুযায়ী সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে মাসে পাচ্ছেন ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির শ্রেণীর মহিলারা মাসে মাসে পাচ্ছেন ১০০০ টাকা। তবে এই প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপের ক্ষেত্রে বেশকিছু শর্ত থাকার কারণে এযাবত অনেকেই ফর্ম ফিলাপ করার সুযোগ পাননি অথবা ফিলআপ করেছেন এমন অনেকের ফর্ম বাতিল হয়েছে। এমত অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ফর্ম ফিলাপে অর্থাৎ আবেদনের ক্ষেত্রে আরও সরলীকরণ করার ঘোষণা করা হলো।

Advertisements

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য এর আগে পর্যন্ত যে নিয়ম ছিল তাতে আবেদনকারীকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো আধার কার্ড নম্বর, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নম্বর এবং তপশিলি জাতি অথবা উপজাতি শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে জমা দিতে হতো এসটি অথবা এসসি সার্টিফিকেট নম্বর। এই দু-তিনটি কার্ডের নম্বরের বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেকেই আবেদন করতে পারছিলেন না।

Advertisements

এমত অবস্থায় শুক্রবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই সকল কার্ড অর্থাৎ আধার কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড অথবা জাতির শংসাপত্র কার্ড না থাকলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। আবেদন করার পর যাচাই করে যদি দেখা যায় যে ওই মহিলার এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তাহলে তাকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে।

রাজ্য সরকারের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে শুক্রবার নিয়মে এমন শিথিলতা আনার ঘোষণা করেছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, বাড়ির যে কারোর নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকলেও অন্যান্য মহিলারাও আবেদন করতে পারবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য। সে ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নামেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকতে হবে এমনটা নয়। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাবেন রাজ্যের ২৫-৬০ বছর বয়স পর্যন্ত মহিলারা।

Advertisements