আর ঠকাতে পারবে না প্রোমোটাররা! ফ্ল্যাট বিক্রিতে নতুন নিয়ম জারি করে দিল রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিজের একটি বাড়ি থাকবে, যে বাড়িটি হবে মনোমতো সাজানো গোছানো, কর্মস্থল থেকে কাছে ইত্যাদি স্বপ্ন কার না থাকে। কিন্তু স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে অনেকেই এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। কারণ বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে জমি কিনে নিজের হাতে বাড়ি তৈরি করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে খরচ বাঁচিয়ে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য বহু মানুষ রয়েছেন যারা ফ্ল্যাট (Flat) কেনার দিকে ঝুঁকছেন।

তবে আবার ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রেও অনেক রকম ঝুঁকি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানিং কালে। বড় বড় সংস্থার ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে সেরকম কোনো ঝুঁকি না থাকলেও ছোট ছোট ফ্ল্যাট ক্রয় করার ক্ষেত্রে এই ধরনের নানান ঝুঁকি দেখা যায়। অগ্রিম টাকা দেওয়ার পরেও প্রোমোটাররা কাজ চলছে বলে বহু সময় কাটিয়ে দেয় আর চাবি দিতে চাই না। এই ধরনের লোক ঠকানো থেকে গ্রাহকদের বাঁচাতে এবার নতুন নিয়ম জারি করল রাজ্য সরকার (WB government)।

এই ধরনের লোক ঠকানো যাতে আর না হয় তার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, প্রোমোটারকে নির্মীয়মান ফ্ল্যাট রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি-তে (RERA) নথিভুক্ত করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার পর প্রোমোটারকে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে। ফ্ল্যাট বিক্রি করা শুরু করার আগে প্রোমোটারকে ওই রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।

রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ কাঠা জমির উপর নির্মাণ কোন বিল্ডিং অথবা ফ্ল্যাট ছ’তলা হয়ে থাকলে এই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আগে এই নিয়ম ছিল পাঁচ কাঠা জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে অথবা সর্বোচ্চ আটটি ফ্ল্যাট নির্মাণের ক্ষেত্রে। কিন্তু এবার এই নিয়মে বদল আনা হলো এবং নতুন নিয়ম মেনে চলতে হবে প্রোমোটারদের। নতুন নিয়ম মানা না হলে প্রোমোটারের তিন বছরের জেল এবং নির্মাণ প্রকল্পের মোট খরচের ১০ শতাংশ জরিমানা লাগবে।

জুন মাসের ৬ তারিখ থেকে রাজ্য সরকার এমন নিয়ম বলবৎ করেছে। এই রেজিস্ট্রেশনের পরিপ্রেক্ষিতে যদি কোন প্রোমোটার কোন ক্রেতাকে এই ধরনের বুজুরকি দেখিয়ে ঠকানোর চেষ্টা করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে রেরাতে অভিযোগ করা যাবে। আর এই ধরনের অভিযোগ পেলেই সংস্থার তরফ থেকে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।