নিজস্ব প্রতিবেদন : রেশন কার্ড (Ration Card) দেশের নাগরিকদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্ড। দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছেও পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড (West Bengal Ration Card) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কেননা রেশন কার্ড থাকলে এখন সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছে। তবে রেশন কার্ড নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায় মাঝেমধ্যেই, আর সেই সকল সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা দূর করে দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের থেকে বিভিন্ন সময় রেশন কার্ড পাওয়া থেকে শুরু করে রেশন কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ তুলতে দেখা যায়। এই সকল অভিযোগের অবসান ঘটাতে দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অনুযায়ী কাজ চালাচ্ছিল। অবশেষে সেই কাজে তারা সফলতা অর্জন করেছে এবং এমন সফলতা দেশে প্রথম রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ অধিকার করেছে।
রাজ্যের বাসিন্দারা রেশন কার্ড সংক্রান্ত যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন সেই সকল সমস্যা মেটানোর জন্য খাদ্য দপ্তরের জেলায় জেলায় থাকা অফিস সহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়াতে হত। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ, পায়ের চটি ক্ষয় হয়ে গেলেও সুরাহা পাওয়া যায় নি। তবে এবার এই ধরনের সমস্যা মেটানোর জন্য আর খাদ্য দপ্তরের অফিসে অফিসে ছোটাছুটি করতে হবে না। আর পায়ের চটি ক্ষয় করতে হবে না।
আরও পড়ুন ? Ration Card Cancellation: প্রত্যেক রেশন দোকান থেকে ১০-১৫% রেশন কার্ড বাতিল! তালিকায় আপনারটাও নেই তো!
আসলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এবার রেশন কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পুরো প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতায় আনা হয়েছে। রেশন ব্যবস্থাকে পুরোপুরিভাবে ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতায় নিয়ে আসার ফলে এবার বাড়িতে বসে অনলাইনে যাবতীয় কাজ ছেড়ে ফেলা যাবে। এমনকি এই প্রক্রিয়া এমনভাবে করা হয়েছে যাতে করে উপভোক্ততারা তাদের স্মার্টফোন থেকেও যাবতীয় কাজকর্ম সেরে ফেলতে পারেন। দাবি করা হচ্ছে দেশে প্রথম এই ধরনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তরের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেই রেশন কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুল সংশোধন থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করা যাচ্ছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ২২ লক্ষ উপভোক্তা এই সকল সুবিধা নিয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে প্রদত্ত এমন সুবিধা পেতে ওই ওয়েবসাইটে থাকা নির্দেশাবলী পরপর মেনে চলতে হবে। খাদ্য দপ্তরের দাবি অনুযায়ী এটি উপভোক্তাদের কাছে সেলফ সার্ভিসের মত। ওই ওয়েবসাইটে উপভোক্তারা নিজেদের নাম, বয়স, ঠিকানা থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।