ফুচকা হোক অথবা ঝালমুড়ি, লাগবে লাইসেন্স, নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিয়ম আগে থেকেই রয়েছে, ফুচকা, ঝালমুড়ি, কাটা ফল, গোটা ফল সহ সবধরনের স্ট্রিটফুডের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন। এই নিয়ম থাকলেও এ নিয়ে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু এবার এই সকল বিষয় নিয়ে কড়াকড়ির পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisements

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সম্প্রতি উদ্যোগ নিয়েছে এই ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জায়গায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এই সকল অফিসারদের কাজ হবে, এই ধরনের স্ট্রিটফুড বিক্রেতাদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কিনা অথবা যাদের লাইসেন্স প্রয়োজন তারা নিয়েছেন কিনা।

Advertisements

খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্র সরকার ২০১১ সালে এক দেশ এক আইন হিসেবে চালু করে ফুড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড সেফটি অথরিটি অব ইন্ডিয়া। এই আইন অনুযায়ী খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতা প্রতিজনের রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছোট বিক্রেতাদের বার্ষিক ১০০ টাকা এবং যে সকল বিক্রেতাদের বার্ষিক বেচাকেনা ১২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি তাদের এই ফুড লাইসেন্স বাবদ বার্ষিক ২০০০ টাকা দিতে হয়। আবার কোন কোন দ্রব্য বিক্রি করছেন তার উপরেও এই টাকা ধার্য হয়ে থাকে।

Advertisements

এযাবত রাজ্যে এই নিয়ম চালু থাকলেও সেই ভাবে জোর দেওয়া হয়নি। জোর দেওয়া হয়নি মূলত কর্মীসংখ্যার অভাবেই বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। অন্যদিকে রাজ্য সরকার এই বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্য ২০১৮ সাল থেকেই উদ্যোগ নেয়। সেই সময় কর্মী নিয়োগ করা হলেও পরবর্তীকালে করোনা পরিস্থিতির কারণে আর এগোনো যায় নি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে তৎপরতা।

এখন প্রশ্ন হল এই আইন কোনো ব্যবসায়ী যদি ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে সেক্ষেত্রে কি হবে? এই বিষয়ে জানা যাচ্ছে, এই আইন ভঙ্গ করার জন্য ছোট ব্যবসায়ীদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। অন্যদিকে যে সকল ব্যবসায়ীদের বার্ষিক ব্যবসা ১২ লক্ষ টাকা বা তার বেশি, তারা যদি এই আইন ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দুটিই হতে পারে।

Advertisements