DM Change Birbhum and Purba Bardhaman: বীরভূম ও বর্ধমানের জেলাশাসক বদল, কারা পেলেন দায়িত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের পুলিশ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক পদাধিকারীদের রদবদল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবার একইভাবে স্থলাভিষিক্তকরণ করা হলো বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকদের (DM Change Birbhum and Purba Bardhaman)। নির্বাচনের আগে পুলিশ এবং প্রশাসনিক স্তরে এমন রদবদল প্রত্যেকবারেই দেখা যায়। সেই মতো লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে এমন রদবদল চলছে।

বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকদের স্থলাভিষিক্তকরণের পাশাপাশি এদিন মোট ৪৬ জন পুলিশ আধিকারিকেরও বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নবান্ন। যে তালিকায় রয়েছেন আইপিএস অফিসার জাভেদ শামিম থেকে শুরু করে সুবিমল পালও। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন বদলি করা হলেও নবান্নের কর্তাদের একাংশের দাবি, এই বদলি পুরোপুরিভাবে রুটিন অনুযায়ী।

এদিনের এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়কে পাঠানো হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হিসাবে। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজিকে পূর্ব বর্ধমান থেকে জেলাশাসক হিসাবে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বীরভূমে। দুই জেলার জেলাশাসকদের এমন স্থলাভিষিক্তকরণের নির্দেশের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে ৩১ জানুয়ারি বুধবার।

আরও পড়ুন 👉 TMC Leader from Birbhum Joins BJP: অনুব্রতহীন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের পাল্টি! যোগ দিলেন বিজেপিতে

বীরভূমের জেলাশাসক হিসেবে বিধান রায় দায়িত্ব গ্রহণ করার আগে দায়িত্ব সামলে ছিলেন ডিপি কারনাম। ডিপি কারনামের জায়গায় বিধান রায়কে বীরভূমের জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০২১ সালের ১২ মে। এরপর তিনি ২০২১ সালের ১৭ মে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রায় তিন বছর বীরভূমের দায়িত্ব সামলানোর পর এখন বিধান রায় জেলাশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন পূর্ব বর্ধমানের। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বতন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা শিংলার জায়গায় জেলাশাসক হিসেবে পূর্ণেন্দু কুমার মাজি দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এখন তিনি পূর্ব বর্ধমান থেকে বীরভূমের দায়িত্বে এলেন।

তবে ভোটের আগে এমন পরিবর্তনের পিছনে যে কারণটি রয়েছে সেটি হল, শেষ চার বছরের মধ্যে যদি তিন বছর কোন আধিকারিক একই জেলায় থাকেন তাহলে তাকে ভোটের কাজে যুক্ত করা যায় না। এমনকি যদি কোন আধিকারিক পদোন্নতি পেয়েও একই জেলায় থেকে যান তাহলেও তার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। যে কারণেই ভোট এলেই এমন পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে অন্যান্য আধিকারিকদের বদলির রেওয়াজ দেখা যায়।