নিজস্ব প্রতিবেদন : সুপার সাইক্লোন আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দিনরাত এক করে কাজ করা সত্ত্বেও এখনো স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি ন্যূনতম পরিষেবা। ক্ষতির পরিমাণ এতটাই যে পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার সেনার সাহায্য প্রার্থনা করতে হলো রাজ্য সরকারকে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে ৭২ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ, পানীয় জল, যোগাযোগ পরিষেবা স্বাভাবিক করে তুলতে পারেনি রাজ্য সরকার। এমনই এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে সেনা নামানোর আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
৭২ ঘন্টা আগে সুপার সাইক্লোন আমফান রাজ্য থেকে বিদায় নিলেও যে পরিমাণ ক্ষত ধরিয়ে গেছে রাজ্যের সাত জেলায় সেই ক্ষত এখনও ডগডগ করছে। আর এই ক্ষতচিহ্ন মেরামতি করার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমফানে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৬ জনের মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছেছে সরকারিভাবে।
GOWB mobilizes maximum strength in unified command mode on 24×7basis for immediate restoration of essential infrastructure and services asap. Army support has been called for;NDRF and SDRF teams deployed; Rlys,Port & private sector too requested to supply teams and equipment(1/3)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 23, 2020
হেক্টরের পর হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, অসংখ্য বাড়িঘর ভেঙে চুরমার।উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ জেলার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে এখনও কলকাতার বিভিন্ন অংশ। বিদ্যুৎ পরিষেবা ছাড়াও জল সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি। এমনকি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাইক্লোন বিদায় নেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে ছুটে আসেন। কপ্টারে করে এলাকা পরিদর্শনের পর এক হাজার কোটি টাকা তৎকালীন সাহায্যের আশ্বাস দেন।
... which is the key to restoration of power in localities. WBSEDCL & CESC asked to deploy maximal manpower, even while lockdown significantly affects the deployment potential of the latter. Police on high alert.(3/3)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 23, 2020
আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে পারেনি সাত জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও তিলোত্তমা। কারণ এখনো পর্যন্ত সড়কপথে অজস্র গাছ পড়ে রয়েছে। যে কারণে বিদ্যুতের খুঁটি সরানো যাচ্ছে না, বিধ্বস্ত এলাকায় দুর্গতদের খাবার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। মোটের উপর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফ থেকে শনিবার সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে পরপর তিনটি ট্যুইট করা হয়। যেখানে সেনাবাহিনীর সাহায্য ছাড়াও রেল এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সাহায্য চাওয়া হয়। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর হতে তরফ থেকে সেনা সাহায্য চাওয়ার পর এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথা সেনাবাহিনী এখন কি উত্তর দেয় তার দিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।