নিজস্ব প্রতিবেদন : গত মাসে কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে বাতিল হয়েছে রাজ্যের ৫ লক্ষের কাছাকাছি ওবিসি সার্টিফিকেট। যাদের ওবিসি সার্টিফিকেট (OBC Certificate) ২০১০ সালের পর ইস্যু করা হয়েছিল, সেই সকল সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার রায় দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এমন রায় মূলত ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সমস্ত নিয়ম না মানার কারণে।
ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এখন রাজ্য জুড়ে নানান জট তৈরি হয়েছে। যে জটের সমাধান কবে হবে তার উত্তর এখনো কারো কাছে নেই। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। তবে এখনো রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়নি।
ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের এমন রায়ের পর রাজ্যে WBCS পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে কেননা, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যা হতে পারে আর সেই আশঙ্কার ভিত্তিতেই পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে রাজ্য। অন্যদিকে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পর এখন ওবিসি সংরক্ষণে পড়ুয়াদের ভর্তি হওয়া নিয়েও জট তৈরি হয়েছে।
আর কয়েকদিন পরেই কলেজ সহ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য জায়গায় ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মুখে থাকলেও ওবিসি কোথায় কোন শংসাপত্র দেখিয়ে পড়ুয়ারা ভর্তি হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এমন প্রশ্নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এমন ঘটনা নিয়ে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না। এমনকি ওবিসি পড়ুয়ারা তাদের কোটায় কিভাবে ভর্তি হবে সেই সদুত্তর সেই অর্থে কেউই দিতে পারছেন না।
স্বাভাবিকভাবেই যখন পড়ুয়া পড়ুয়ারা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষরা ওবিসি কোটায় ভর্তি হওয়া নিয়ে জটের মধ্যে রয়েছেন তখন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি তাদের পোর্টালে জানিয়ে দেওয়া হবে। দু-একদিনের মধ্যেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছেন এই রায় মানা হবে না এবং এর পাল্টা হিসাবে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে।