নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজাতেই সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে শুরু হয়েছে ক্যাচক্যাচানি। এক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের অন্ত রাখছেন না। তবে এসবের মধ্যে এবার এই ক্যাচক্যাচানি শুরু হলো রাজ্যের রাজ্যপাল ও শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে। অন্ততপক্ষে রাজ্যপালের নালিশ নিয়ে ব্রাত্য বসু (Rajya Pal vs Bratya Basu) যা দাবি করেছেন তাতে এমনটাই স্পষ্ট।
রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের এমন ক্যাচক্যাচানি শুরু হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি বড় কারণ। পিটিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যপাল নাকি রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ জানিয়েছেন। আর এই গোটা বিষয়টিকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু রীতিমতো হাস্যকর বলে দাবি করেছেন এবং তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
কিন্তু কেন ব্রাত্য বসুকে রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর জন্য সুপারিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল? এর পিছনে রয়েছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে দেশজুড়ে এখন আদর্শ আচরণবিধি জারি হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, গত ৩০ মার্চ মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবকুপার তরফ থেকে সভা ডাকা হয়েছিল। যা হলো তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠন। যেখানে সভাপতিত্ব করেছিলেন ব্রাত্য বসু। আর এই বিষয়টি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অঙ্গ হিসাবেই দাবি করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন ? Higher Secondary Result: ৭০-৮০% খাতা দেখা কমপ্লিট, উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে আপডেট দিল সংসদ
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে নাকি বৃহস্পতিবার সকালে রাজভবনের এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে সর্বভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থার তরফ থেকে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর জন্যই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে রাজ্যপালের। যদিও সেই পোস্ট পরে মুছে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডালে লিখেছেন, তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণের জন্য সুপারিশ জানাতেন তাহলে সেটি যেমন হাস্যকর হতো, ঠিক সেই রকমই তাকে অপসারণের সুপারিশ হাস্যকর। পাশাপাশি ব্রাত্য বসু দাবি করেছেন, তিনি যদি কোন আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে তা নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার দায়িত্ব যেকোনো রাজনৈতিক দলের। কিন্তু রাজ্যপাল এমন সুপারিশ করে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে এনে ফেলেছেন।