নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওড়িশা ভূখণ্ডে আছড়ে পড়লেও তার সরাসরি এবং পরোক্ষভাবে প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক এলাকায়। একাধিক এলাকায় কৃষিকর্মে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অজস্র ঘরবাড়ি। এর পাশাপাশি প্রাণহানি হয়েছে বেশ কয়েকজনের। এখনো কবলিত এলাকাগুলির অধিকাংশ অংশ জলের তলায় রয়েছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন।
প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি শুক্রবার তিনি দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করে প্রশাসনিক বৈঠক করেন এবং খুঁটিনাটি জানান। আর সেই প্রশাসনিক বৈঠকের পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হল ক্ষতিপূরণ হিসেবে কোন খাতে কত টাকা পাবেন উপভোক্তারা।
ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনকারীদের ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে হবে। ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সেই সকল আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে। এরপর ১ থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদনকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা হয়ে যাবে।
কোন ক্ষেত্রে কত টাকা ক্ষতিপূরণ মিলবে?
কৃষি জমির ক্ষয়ক্ষতির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যে ক্ষতিপূরণ দেবে বলে ঘোষণা করেছে তাতে বলা হয়েছে, এই খাতে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে ১০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত। জমি এবং জমির ফসল ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে এই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে।
পান চাষিদের পান চাষের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে পাঁচ হাজার টাকা।
যে সমস্ত ব্যক্তিদের মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে পাঁচ হাজার টাকা।
যে সমস্ত ব্যক্তিদের বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে ২০ হাজার টাকা।
[aaroporuntag]
গবাদি পশুর মৃত্যু ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে ৩০ হাজার টাকা।