নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্ষমতায় তৃতীয়বার ফেরার পরই তৃণমূল সরকারকে শিল্প থেকে কর্মসংস্থানের দিকে জোর দিতে লক্ষ্য করা যায়। এনিয়ে একাধিকবার নানান পরিকল্পনা গ্রহণ করাও হয়েছে। আর এই কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণের জন্য এদিন রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা। সেই ক্যাবিনেট বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা পরে ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এদিন বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহ ডিভিশনের জন্য নতুন ৩১৭৯টি প্রাথমিক শিক্ষক পদ তৈরি করা হয়। এর পাশাপাশি পুরাতন ৩১২৫টি পদেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলায় যাতে শিল্প আসে তার জন্য এদিনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। যে আলোচনায় মাঝারি শিল্পতালুক তৈরি করার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নিয়ে ২০১৪ সালে যে নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল সেই নিয়মে শিথিলতা আনা হয় এবং জানানো হয় দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা এবং কলকাতা পুরসভা এলাকায় ৫ একর জমি থাকলেই করা যাবে শিল্পতালুক।
এছাড়াও জানানো হয়েছে এই শিল্পতালুকে এখন থেকে গুদাম বা লজিস্টিক হাব, কোল্ড স্টোরেজ, পোলট্রি বা ফিশারি তৈরি করা যাবে। যা আগের নিয়ম অনুযায়ী এগুলি তৈরি করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
শিল্পতালুক তৈরি করার ক্ষেত্রে ইন্সেন্টিভ প্রথায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে শিল্পতালুক তৈরি করার ক্ষেত্রে কাজ শুরু হওয়ার পর ২০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। তার পর ৩০ শতাংশ এবং পরে ৫০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য।
ইটভাটা তৈরি করার ক্ষেত্রেও নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১.৫ মিটার পর্যন্ত মাটি খুঁড়ে ইটভাটা তৈরি করার ক্ষেত্রে আর পরিবেশ দপ্তরের অনুমোদন লাগবে না।
এছাড়াও এদিনের এই ক্যাবিনেট বৈঠকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যাতে করে ওই সকল বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সরকারের সাথে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করতে সক্ষম হয়।