চলবে অটো, খুলবে সেলুন, চতুর্থ দফার লকডাউনে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : গতকাল কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে করোনা মোকাবিলায় ৩১ শে মে পর্যন্ত লকডাউন চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়। সেইমতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্যেও ৩১ শে মে পর্যন্ত চলবে লকডাউন। তবে রাজ্যে চতুর্থ দফার লকডাউনে একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে।

Advertisements

Advertisements

রাজ্যের করোনা সংক্রমিত এলাকা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া অন্যান্য জায়গাতে সব কিছু খোলা যাবে। আবার কনটেইনমেন্ট জোনকেও বুথ ও ওয়ার্ড অনুসারে ভাগ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই কনটেইনমেন্ট জোনকে তিন ভাগে ভাগ করার কথা জানিয়েছিলেন। সেই একই কথা আজও জানান। বলেন, কনটেইনমেন্ট জোনকে A, B ও C এই তিন ভাগে ভাগ করা হবে। A হল সংক্রমিত এলাকা, B হল বাফার এলাকা আর C হল ক্লিন এলাকা। A এলাকাভুক্ত অংশে আপাতত সবকিছু বন্ধ থাকবে। B চিহ্নিত এলাকার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ থাকবে। আর C চিহ্নিত এলাকায় সবকিছু স্বাভাবিক চলবে।

Advertisements

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করেন

১) আগামী ২১শে মে থেকে সব বড় দোকান, মাঝারি দোকান খুলে যাবে। দোকানদারদের বাধ্যতামূলক ভাবে পড়তে হবে গ্লাভস ও মাস্ক।

২) ওই একই দিন থেকে খোলা যাবে সেলুন, বিউটি পার্লার। তবে প্রতিবার চুল ও দাড়ি কাটার পর চিরুনি, কাঁচি স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক।

৩) খোলা যাবে হোটেল। তবে খোলার আগে স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব।

৪) ২১শে মে থেকে কনটেইনমেন্ট জোনের অন্তর্ভুক্ত A চিহ্নিত এলাকা বাদে অন্যত্র চালু হবে বাস পরিষেবা। চলবে সরকারি বাস। নিয়মবিধি মেনে বেসরকারি বাস চালানো যেতে পারে।

৫) ২৭শে মে থেকে সর্বাধিক দুজন যাত্রী নিয়ে চালানো যাবে অটো।

৬) ২৭শে মে থেকে দোকান খুলতে পারবেন হকার ব্যবসায়ীরা। তবে দোকান খোলার ক্ষেত্রে মানতে হবে জোড়-বিজোড় পদ্ধতি। আর এক্ষেত্রে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন হকার কমিটির সাথে বসে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

৭) মাঠে খেলাধুলা চালু করা যেতে পারে। তবে দর্শকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।

৮) ৫০% কর্মীদের নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলা যাবে। পাশাপাশি ৫০% কর্মীদের নিয়ে খোলা যাবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

তবে এখনো পর্যন্ত কোনো রকম শপিংমল খোলার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপিংমল খোলার নির্দেশ না দিলেও তিনি জানান কোন মলের ভিতর যদি কোন বেসরকারি অফিস থাকে তাহলে তার খোলা যাবে। এদিন একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানান যে, চতুর্থ দফার লকডাউনে একগুচ্ছ ছাড় দেওয়া হলেও সকলকে মেনে চলতে হবে নিয়ম, পড়তে হবে মাস্ক, বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। দোকান খুললেই ভিড় করলে চলবে না। নিজের চেষ্টাতেই সাবধানে থাকতে হবে।

Advertisements