নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার দীর্ঘ মে মাস থেকে রাজ্যে জারি করেছে কঠোর বিধি নিষেধ। একাধিক সময় এই কঠোর বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে আনা হয়েছে কঠোরতা, আবার কখনো দেওয়া হয়েছে একাধিক ছাড়। সম্প্রতি রাজ্য সরকার তাদের তরফ থেকে জারি করা এই কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ জুলাই পর্যন্ত। তবে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই কার্যত লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হলো।
বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে কঠোর বিধি-নিষেধ অর্থাৎ কার্যত লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হচ্ছে। এই কঠোর বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। তবে এই বিধি-নিষেধ চললেও গত ১৪ জুলাই যে সকল ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছিল সেই সকল ছাড় বজায় থাকবে। অর্থাৎ রাজ্যের ঘোষণা অনুযায়ী কঠোর বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলেও একাধিক ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়।
নতুন করে কঠোর বিধি নিষেধের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি জানানো হয়েছে রাত্রি ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত জরুরী কাজ ছাড়া কোন ব্যক্তি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে অযথা ঘোরাফেরা করতে পারবেন না। অর্থাৎ নাইট কার্ফুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জোর দিয়েছে রাজ্য সরকার। যা কয়েক দিন আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে কঠোর ভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
পাশাপাশি এই করণা পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষকে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ বাড়ির বাইরে বের হলেই তাকে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, সময়ে সময়ে ব্যবহার করতে হবে স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশ অথবা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজকর্ম চালাতে হবে।
অন্যদিকে এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে সরকারি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষের উপস্থিতি যেন না থাকে তার দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী সমস্ত বিধি-নিষেধ পালন করতে হবে।