নিজস্ব প্রতিবেদন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফ থেকে রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য সারা বছরই কোন না কোন প্রকল্পের সূচনা করে থাকে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে প্রায় ৫০টি জনদরদী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তবে সেই সকল প্রকল্পের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। এছাড়াও যে সকল প্রকল্প রয়েছে তার মধ্যে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলি হল কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য নগদ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এরপর নির্বাচনে তৃতীয় বারের জন্য সরকারের আসতেই তিনি চালু করেন এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তার তরফ থেকে চালু করা প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের নগদ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করা হয়।
২৫ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত রাজ্যের মহিলারা সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রকল্পের সুবিধা পেতে শুরু করেন। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে নগদ ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন যতদিন থেকে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের নিয়মে অক্টোবর মাসে পরিবর্তন আনা হলো।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে বিপুল সংখ্যক মহিলারা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন এবং তাদের মধ্যে যারা উপযুক্ত তাদের প্রায় ৯ লক্ষ মহিলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এই সকল উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দুর্গাপুজোর আগেই তাদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেবে রাজ্য সরকার। এর পাশাপাশি পুরাতন উপভোক্তাদেরও টাকা দুর্গাপুজোর আগেই দেওয়া হবে। ফলে পুজোর আগেই এই প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তাদের মুখে হাসি ফুটবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
তবে এর থেকেও বড় বদল হলো অক্টোবর মাসে প্রাপ্ত টাকার অঙ্কের পরিমাণে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসে দ্বিগুণ টাকা পেতে পারেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় থাকা মহিলা। এক্ষেত্রে যারা ৫০০ টাকা পেতেন তারা পাবেন ১০০০ টাকা এবং যারা এক হাজার টাকা পেতেন তারা পাবেন ২০০০ টাকা। তবে এই টাকা বোনাস হিসাবে দেওয়া হবে নাকি অ্যাডভান্স পেমেন্ট দেওয়া হবে তা সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।