নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর মাস মানেই প্রতিটি বাঙ্গালীদের কাছে আলাদা মেজাজে ভরা মাস। এবার পুজোর মাস পড়েছে অক্টোবর। এই মাসেই রয়েছে বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja)। পুজোর মাসে যেমন আলাদা করে উৎসব অনুষ্ঠান, ছুটিছাটা থাকে ঠিক সেই রকমই আবার এই মাসে খরচ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। পূজোর মাসে জামা কাপড় কেনা থেকে শুরু করে আড্ডা, হইহুল্লোড় সবকিছুতেই খসে বাড়তি টাকা।
আর এই বাড়তি টাকা খসার চিন্তা রীতিমত মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে। এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবার নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে অক্টোবর মাসে ফের একবার বেতন দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসে ফের একবার বেতন দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর মাসে দ্বিতীয় বারের জন্য বেতন পেলে তা ডবল বোনাস হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
অক্টোবর মাসের প্রথম দিকেই রাজ্যের সরকারি স্কুল থেকে শুরু করে সরকারি অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে বেতন প্রদানের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত সমস্ত কাজ সেরে ফেলা হয়। সরকারি দপ্তরের পাশাপাশি একই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের সব সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে বলেই জানা যাচ্ছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে বুধবারের মধ্যে অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়ার জন্য সমস্ত কাজ সেরে ফেলতে হবে অনলাইন স্যালারি পোর্টালে (OSMS)।
এমনিতে বেতন প্রদান সংক্রান্ত যে কাজ করা হয় অর্থাৎ অনলাইন স্যালারি পোর্টালে বেতন দেওয়ার জন্য সমস্ত কাজ প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সেরে ফেলতে হয়। কিন্তু অক্টোবর মাসে এই কাজ সাত দিন এগিয়ে আনা হয়েছে এবং ৪ অক্টোবরের মধ্যে তা সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারি মহলের ধারণা, এবার অক্টোবর মাসের মাঝেই মিলবে বেতন।
চলতি বছর অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে রয়েছে দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর জন্য রয়েছে লম্বা সরকারি ছুটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে, পুজোর এই ছুটির আগেই হয়তো সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন মহল সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে দুর্গাপুজোর ছুটির আগেই হয়তো সরকারের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের বেতনের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হতে পারে। এই জল্পনা ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কর্মচারীদের মুখে চওড়া হাসি ফুটতে শুরু করেছে।