শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : আবগারি দপ্তরের চলতি বছরে প্রায় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২১-২২ চলতি অর্থবর্ষের এখন বাকি রয়েছে কয়েক মাস ফলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ যে আরও ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে তা এখন থেকেই ঠাওর করা যাচ্ছে। আবগারি রাজস্ব বাবদ এই বছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা, বর্তমানে প্রাপ্ত রাজস্বের ভিত্তিতে বলা যায় লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলতেই পারে এই আর্থিক বছরে প্রাপ্ত রাজস্ব।
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজস্বের পরিমাণ মিলেছিল, ১১.২৩৬ কোটি টাকা। ২০২০-২১ এ যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২.৩৬২ কোটি টাকা। এই আর্থিক বছরে তার পরিমাণ যে বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আবগারি দপ্তরের আয় গত কয়েক বছর যাবত বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, রাজ্যে অবৈধ মদ বিক্রির ক্ষেত্রে কড়া নজরদারির অভাব। ফলে রাজস্বের পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত বছরের মার্চে করোনার প্রকোপে মদ বিক্রি বন্ধ ছিল বহুদিন ধরেই। মদ্যপানে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সামনে আসার পর থেকেই মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে যখন ফের চালু হয় দোকানগুলি তখন ৩০ শতাংশ বিক্রয় কর বসিয়েছিল দোকানগুলি। কিন্তু পরিবর্তনটা এসেছে এই চলতি বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে বিলিতি মদের দাম কমে যাওয়ার ফলে।
মূল্য কমে যাওয়ার ফলে ক্রেতারা বিপুল হারে কিনতে পারছেন আর যার ফলে মদের বিক্রির সাথে সাথে রাজস্বের পরিমাণ বাড়ছে। অনলাইনে মদের মূল্য অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় সমান বা কম করার পদক্ষেপের ফল মিলেছে।
রাজ্যে দেশি মদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন নতুন মদ আনা হচ্ছে ফলে এইসব পদক্ষেপে রাজস্বের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। তাই দপ্তরের কর্তারা চলতি বছরে আগে থেকেই ঠাওর করতে পেরেছেন রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূর্বেই পূরণ হয়ে যাবে।