রেশনে কারচুপি-লাইনে ভীড়, লাগাম টানতে নয়া নির্দেশিকা রাজ্য সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে লকডাউন জারি হওয়ার আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্যের দুঃস্থ দরিদ্র মানুষেরা আগামী ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন পাবেন। কিন্তু এরপর থেকেই নানান অভিযোগ উঠতে শুরু করে। কোথাও অভিযোগ ওঠে রেশনে কম মাল দেওয়ার, আবার কোথাও অভিযোগ ওঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার। দুর্নীতি রুখতে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে। তবে এর পরেও এই দুই বিষয়ে লাগাম টানতে নয়া পন্থা বেছে নিল রাজ্য সরকার।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবার থেকে রেশন ডিলারের চাল, গম প্যাকেটিং করে গ্রাহকদের হাতে তুলে দিতে হবে। রেশন ডিলারদের আগে থেকে জিনিসের ওজন করে প্যাকেটিং করে রাখতে হবে। এরপর গ্রাহকরা এলেই তাদের হাতে হাতে তা ধরিয়ে দিতে হবে। যাতে দীর্ঘ লাইন কমে, সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে, পাশাপাশি রেশনে কম মাল দেওয়ার অভিযোগও যেন না ওঠে। অবিলম্বে এই নির্দেশিকা পালন করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের একটি রেশন দোকানে হঠাৎ হাজির হন। সেখানে সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে নানান অসুবিধার কথা জানেন। পাশাপাশি তিনি তাদেরকে পরামর্শ দেন কিভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেশন নেবেন সে বিষয়েও। পাশাপাশি রেশন ডিলারকে আবেদন জানান প্যাকেটিং করে রেশনের জিনিসপত্র গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। আর এই একই প্রসঙ্গ ওঠে শুক্রবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকেও। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ কিলো প্যাকেটে প্যাকেট করে জিনিসপত্র দেওয়া যায় কিনা সে নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেন।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, যদি কোন রেশন দোকানে জায়গা না থাকে তাহলে পার্শ্ববর্তী কোন ক্লাব বা কোন জায়গা থেকে প্যাকেটিং করেও আনা যেতে পারে। আর রেশন সামগ্রী প্যাকেটিং করার জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী অথবা ১০০ দিনের কাজের সাথে যুক্তদের নিয়োগ করা যেতে পারে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এমন পরিকল্পনার পরেই নবান্ন থেকে রেশন প্যাকেটিং করে দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি হয়।