রাজ্য বিপর্যস্ত আমফানে, আপাতত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধ রাখার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত তিনদিন আগে আমফান ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলা বিধ্বস্ত। এখনো বহু জায়গা জলহীন, বিদ্যুৎহীন যোগাযোগ বিহীনভাবে পড়ে আছে। তার মাঝেই বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে পরিযায়ী শ্রমিকরা করোনা সংক্রামিত হচ্ছেন।

মুর্শিদাবাদ জেলায় একসাথে ১৪ জন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। ১৪ জনই পরিযায়ী শ্রমিক। এরকম অবস্থায় একে করোনার কারনে লকডাউন তারপর আবার এই বিধ্বস্ত ঘূর্ণিঝড়। আর তারও পরে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো এই নিয়ে রাজ্য ত্রিমুখী সমস্যায় ভুগছে।

সূত্রের খবর, শনিবার একটি বৈঠকে রাজ্য সরকারের সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন রাখবেন যে আগামী ২৬ শে মে পর্যন্ত যেন পরিযায়ী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রাজ্যে আনা না হয়। ২৬ শে মে’র পর যেন রাজ্যে আসে। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই তাদের জন্য বাড়তি পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। না হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে রাজ্যে।কিন্তু সম্প্রতি আমফান ঘূর্ণিঝড় যেভাবে রাজ্যকে বিধ্বস্ত করেছে তাতে রাজ্যে প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল বিধ্বস্ত। শেষ হয়ে গেছে দুটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, মেদিনীপুরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে।

এই মুহূর্তে একে ভেঙে পড়া রাজ্যকে পুনরায় ঠিক করা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদেরকে পর্যবেক্ষণ করে ঘরে ফেরানো এটা ভীষণ একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তাই মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজ্যে আপাতত কটা দিনের জন্য পরিযায়ী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন স্থগিত করতে বলেন। কাকদ্বীপের একটি বৈঠকে মমতা জানান, আমাদের এই সময় চারটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একে করোনা তারপরে লকডাউন। তৃতীয়ত এই ঘূর্ণিঝড় ঝড় চতুর্থত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা। এমনটা আগে কখনো হয়নি।

তাই সবদিক বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছেন যে আপাতত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন স্থগিত করার জন্য। আর সেই মত মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রককে একটি চিঠিও দিয়েছেন বলে খবর। যাতে আবেদন জানানো হয়েছে, ২৬ শে মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বন্ধ রাখার জন্য।

পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রের কাছে ২৮ মে’র আগে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা চালু না করারও আর্জি জানিয়েছে।