নিজস্ব প্রতিবেদন : মানুষের জীবনে সবচেয়ে জরুরী যে সকল চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে একটি চাহিদা হল চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেকোনো সময় মানুষের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে আর সেই অসুস্থতা থেকে নিজেদের সুস্থ করে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় চিকিৎসার। দেশ তথা রাজ্যে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা নিজেদের অসুস্থতায় নামিদামি হাসপাতালে টাকা খরচ করে চিকিৎসা করেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় সংখ্যার মানুষ রয়েছেন যারা টাকা-পয়সার অভাবে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা মূলত হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বহন করেন।
হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বহন করার ক্ষেত্রে সমস্যা কেবল এক জায়গাতেই। সেই সমস্যা হল দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো। সাধারণ মানুষদের এই সমস্যা যাতে দূর হয় তার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে আউটডোর পরিষেবায় আনা হচ্ছে বৈপ্লবিক এক পরিবর্তন। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বৈপ্লবিক উদ্যোগ এবং পরিবর্তনের ফলে আশা করা হচ্ছে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর সমস্যা মিটে যাবে।
মানুষের ভোগান্তি কমাতে মূলত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে এক এবং অভিন্ন আউটডোর নেটওয়ার্ক চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযুক্ত করা হবে কলকাতা ও জেলার মেডিকেল কলেজগুলি এবং গ্রামীণ এলাকার হাজার হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে। এই নেটওয়ার্ক তৈরি হলে সাধারণ রোগীরা অনেক সুবিধা পাবেন।
সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বড় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে রক্ত অথবা অন্য কোন পরীক্ষার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কেননা এতদিন বড় হাসপাতালের আউটডোরে দেখানোর পর আউটডোরের কাগজে লেখা বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করাতে কালঘাম ছুটে যেত রোগীদের। এবার এই সমস্যা দূর হতে চলেছে এবং এই সমস্যা দূর হলে সাধারণ মানুষদের ভোগান্তিও অনেকটা দূর হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক এবং অভিন্ন আউটডোর নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে নতুন ধরনের প্রেসক্রিপশন চালু করা হবে এবং এই প্রেসক্রিপশন চলতি বছরের মধ্যেই চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই প্রেসক্রিপশন চালু হয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকদের হাতের লেখা বোঝার ক্ষেত্রে যে অসুবিধা হতো, তা আর হবে না। এছাড়াও রোগীর পূর্বের কোন অসুখ ছিল কিনা তাও উল্লেখ থাকবে প্রেসক্রিপশনে। এছাড়াও আউটডোরের টিকিট করার সময় টিকিটের নম্বর যাবে স্বাস্থ্য ভবনের কোন কম্পিউটার থেকে। সেই টিকিট যে কোন স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই কাজে লাগবে, নতুন করে টিকিট করানোর দরকার নেই।