নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার প্রথম ঢেউ ভারতে আছে পড়ার সময় সেভাবে বাচ্চাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রভাবিত হচ্ছেন বাচ্চারা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জানা যাচ্ছে হাজার হাজার বাচ্চা আক্রান্ত হচ্ছে এই করোনায়। এরপরে আবার আরও আশঙ্কা তৈরি করছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কারণ জানা যাচ্ছে তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে বাচ্চাদের উপর।
অন্যদিকে এখনো পর্যন্ত যে সকল ভ্যাকসিন রয়েছে তা ১৮ বছর বয়সের বেশি বয়সীদের জন্য। সুতরাং এই বিষয়টিও বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে যদি কোন বাচ্চা আক্রান্ত হন অথবা তার মধ্যে কোনরকম উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে তা জানালো রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন।
বাচ্চাদের চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে চিকিৎসা সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এই নির্দেশিকায় মূলত জানানো হয়েছে শিশুদের করোনা হলে মূলত কি কি উপসর্গ দেখা দিতে পারে এবং সে ক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
৮ বছরের কম বয়সী কোনও শিশুর যদি হালকা জ্বরের সাথে কফ, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেখা যায় বা পেট খারাপ বা বমি অথবা স্বাদ গন্ধ চলে যায়। সে ক্ষেত্রে এটা করোনার সামান্য উপসর্গ হতে পারে।
আর এমনটা হলে চিকিৎসকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল, ওআরএস এবং খাবার দিতে হবে। এর পাশাপাশি ভিটামিন সি, ডি এবং জিংক দেওয়া যেতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা যদি ১০০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের বেশি হয় সে ক্ষেত্রে ১০-১৫ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল প্রতি কেজি ডোজ হিসাবে দেওয়া যেতে পারে।
কোন শিশুর ক্ষেত্রে যদি চার দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ দেখা দেয়। পাশাপাশি অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ শতাংশের নিচে নেমে গেলে মাঝারি উপসর্গ হিসেবে ধরা হবে।
[aaroporuntag]
নিউমোনিয়া সহ যদি অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশের নিচে নেমে যায় তাহলে গুরুতর অসুস্থ হিসাবে ওই শিশুকে গণ্য করতে হবে। আর এই পরিস্থিতিতে কোনরকম সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।