NHAI Project: বর্তমান পরিস্থিতিতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলার সড়কব্যবস্থা আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। তবে এবার বাংলা পেতে চলেছে বিরাট উপহার। একবার যদি এই প্রজেক্ট সম্পন্ন হয় তাহলে বাংলার উন্নতি নিশ্চিত। শুধুমাত্র ১০০ কিংবা ২০০ কোটি নয় রাতারাতি ২০০০ কোটি টাকারও বেশি প্রোজেক্টের বরাত পেল বড় কোম্পানি। কোন কোম্পানি পেল এই বড় সুযোগ?
বাংলা দুটি নতুন সড়ক পেতে চলেছে অশোকা বিল্ডকন লিমিটেড-এর হাত ধরে। বঙ্গবাসীর জন্য এর থেকে বড় উপহার আর কিছু হতে পারে না। স্টক এক্সচেঞ্জে জমা দেওয়া একটি ফাইলিংয়ে পরিকাঠামো সংস্থাটি জানিয়েছে যে, বাংলাতে হওয়া NHAI প্রকল্পের জন্য তারা সম্প্রতি এই অর্ডারটি পেয়েছে। এই সংস্থাটি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এনএইচএআই) (NHAI Project) ২,৭৯১ কোটি টাকার প্রকল্পের জন্য সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। বাংলার মানুষের সুবিধার্থে এই কোম্পানি খুব শীঘ্রই তৈরি করতে বলেছে দুটি নতুন সড়ক।
আরো পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এক চিঠিতেই কাম তামাম! নতুন স্টেশন পেল রাজ্য
রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে গোটা প্রকল্পটি তৈরি হবে Hybrid Annuity Model অনুসারে। সবথেকে বড় প্রশ্ন হল কোথায় হবে এ দুটি নতুন রাস্তা? ওয়ার্ক অর্ডারের বিবরণ অনুযায়ী, ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রকল্পতে, একটি পশ্চিমবঙ্গের বোওয়াইচণ্ডী থেকে গুসকরা-কাটোয়া রোড পর্যন্ত ৮৯.৮১৪ কিলোমিটার থেকে ১৩৩ কিলোমিটার (এনএইচ ১১৬এ (প্যাকেজ -৩) (NHAI Project) পর্যন্ত চার লেনের অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরো পড়ুন: হাওড়া স্টেশন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা রেলের, যাত্রীরা পাবেন বাম্পার সুবিধা
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে যে এই প্রকল্পটি হাইব্রিড মোডের অধীনে সম্পন্ন হবে। জানলে আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে, জিএসটি চার্জ বাদ দিয়ে এই প্রকল্পের মূল্য ১,৩৯১ কোটি টাকা। বাংলার মানুষ হয়তো খুব শীঘ্রই এই সুবিধার লাভ করতে চলেছে। আগামী ৯১০ দিনের মধ্যেই প্রকল্পটি সম্পন্ন করা হবে এমনটাই দাবি করা হচ্ছে।।
দ্বিতীয় প্রকল্পটি (NHAI Project) সম্পন্ন হবে পশ্চিমবঙ্গের খড়গপুর থেকে চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রোড পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক (প্যাকেজ -১) জুড়ে চার লেনের অর্থনৈতিক করিডর হিসাবে। দ্বিতীয় প্রকল্পটিদের খরচ হবে প্রায় ১,৪০০ কোটি টাকা। কোম্পানির তরফ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে যে শীঘ্রই তারা শুরু করে দেবে এই সড়ক নির্মাণের কাজ। সাধারণ মানুষ এখন শুধুই অপেক্ষা করছে এই দুটি নয়া রাস্তা নির্মাণের জন্য। একবার এই বড় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উন্নত সড়কব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারবে সাধারণ মানুষ।