লকডাউন তুলতে নারাজ, লোকাল ট্রেনেও আপত্তি রয়েছে বাংলার

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন জারি হওয়ার পর সেই লকডাউন দেখতে দেখতে পা রেখেছে চতুর্থ দফায়। আর এবার চতুর্থ দফার লকডাউনও শেষের দিকে। যে কারণে কেন্দ্র ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির সাথে কথা বলে পরবর্তী পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আর এদিকে দীর্ঘদিন লকডাউন চলার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ। যে কারণে আগামী দিনে কি হবে এই প্রশ্নই ঘুরছে আমজনতার মুখে মুখে।

আর এই বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ভিডিও কনফারেন্সে ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবাকে এদিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতি লকডাউন তুলতে নারাজ বাংলা। কারণ এখনই লকডাউন তুলে নেওয়া হলে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়বে। এছাড়াও রাজীব সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে রয়েছে আপত্তি।

দীর্ঘ দু’মাস ধরে ভারতে লকডাউন চলছে। যে কারণে দেশের বেশিরভাগ মানুষ গৃহবন্দী। তবেই চতুর্থ দফার লকডাউন দেশে চালু হয়েছে বিশেষ কিছু ট্রেন, চালু হয়েছে বিমান পরিষেবাও। আর রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আগামী ১লা জুন থেকে দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে চলবে আরো ১০০ জোড়া ট্রেন। নতুন করে এই ১০০ জোড়া ট্রেন পূর্বের সূচি মতই চলবে বলেও সূত্রে খবর। এরপরেই অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার কিছুটা হলেও বন্দিদশা কাটবে। কিন্তু এসব চালু হলেও সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না কোনোভাবেই। বৃহস্পতিবারই ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩২৩। যা সত্যি উদ্বেগজনক।

আর এই উদ্বেগের মাঝেই বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সচিব রাজীব গৌবাকে সাফ জানালেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন তোলার পক্ষে কোনো রকম সায় নেই রাজ্যের। মুখ্য সচিব রাজীব সিনহার কথা অনুযায়ী, লকডাউন উঠলেই ব্যাপক হারে বাড়তে পারে সংক্রমণ। পাশাপাশি তিনি এদিন জানান, লোকাল ট্রেন চালানো হলে কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে না। যে কারণে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর পক্ষেও সায় নেই রাজ্যের। তবে পাশাপাশি মুখ্যসচিব এদিন আরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানান। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে তা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।