নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলার লোকাল ট্রেন মানেই মুড়ির টিন। ঠিক এমনটাই হতে দেখা গিয়েছে বছরের পর বছর ধরে। মুড়ির টিনে যেমন ঠেসে মুড়ি পুরে দেওয়া হয়, ঠিক সেই রকমই অবস্থা ছিল বাংলার লোকাল ট্রেনগুলির (WB Local Trains)। যে সকল লোকাল ট্রেনে চড়ে মাত্র কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই সব এনার্জি শেষ হয়ে যেত যাত্রীদের। তবে এবার এই মুড়ির টিনের মত লোকাল ট্রেনের দিন শেষ হতে চলেছে।
আসলে এবার লোকাল ট্রেনগুলির রূপ (WB Local Trains New Look) থেকে শুরু করে সুযোগ-সুবিধা সবকিছুই বদলে যেতে শুরু করেছে। আর আগের মত ছোট ছোট জানলা, গাদাগাদি ভিড়ের দিন দেখতে হবে না। কেননা ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক লোকাল ট্রেন বদলে গিয়ে ঝলমল করছে। এই সকল লোকাল ট্রেনের দিকে চোখ রাখলে আর চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করবে না। আর যাত্রার ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ এতটাই আনা হচ্ছে যে মেট্রোও লজ্জা পাবে।
ইতিমধ্যেই হাওড়া বর্ধমান মেইন লাইনের বেশ কিছু লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে। যে সকল লোকাল ট্রেনে যাত্রীদের চলাফেরা থেকে শুরু করে দাঁড়ানোর জন্য অনেক বেশি জায়গা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি এই সকল লোকাল ট্রেনে চালু করা হয়েছে টিভি। যে সকল টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর পাশাপাশি মাঝেমধ্যেই দেখানো হচ্ছে কার্টুন থেকে শুরু করে চার্লি চ্যাপলিনের মতো শো।
আরও পড়ুন ? Eastern Railway Local Train: কষ্টের দিন শেষ করতে চলেছে পূর্ব রেল, লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
এর পাশাপাশি আগের যেকোনো লোকাল ট্রেনের দরজা মানেই ভারী লোহার দরজা। যেসব দরজা একবার আরেকাঠে লেগে গেলে আর খুলতে চাইতো না। খুলতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হতো যাত্রীদের। এবার এই দরজাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং তা করা হয়েছে পালকের মতো হালকা। যেগুলি অনায়াসেই যাত্রীরা খোলা লাগা করতে পারবেন। পাশাপাশি যোগ করা হয়েছে কাঁচের ফ্রেম। এই সকল দরজা মেট্রোর মতো স্বয়ংক্রিয় না হলেও প্রয়োজন মত খোলা লাগা করতে কোন অসুবিধা হবে না যাত্রীদের।
নতুন সব লোকাল ট্রেনের জানালা থেকে শুরু করে ফ্যান, আলো সবকিছুতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগের মত আর টিমটিম করে আলো জলে না এবং বারবার পেন অথবা চিরুনি দিয়ে ঘুরিয়ে ফ্যান চালানোর প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও লোকাল ট্রেনে লাগানো হয়েছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম। এর ফলে যাত্রীরা ট্রেনে বসেই কোন স্টেশন আসছে তা বুঝতে পারবেন। পাশের যাত্রীকে বারবার জিজ্ঞেস করতে হবে না কোথায় এলো। একইসঙ্গে যাত্রীদের সুরক্ষায় লোকাল ট্রেনের কামরায় লেগেছে সিসি ক্যামেরা।