রাজ্যের এই তিন জায়গায় নতুন তিন বিমানবন্দর, আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে নতুন করে তিনটি বিমানবন্দর চালু করার উদ্যোগ শুরু হলো। আগামী সপ্তাহেই এই তিনটি বিমান বন্দর পরিদর্শনে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন সারবেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা জাতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বিমানবন্দর চালু করার জন্য কতটা প্রস্তুত তা পরিদর্শন করবেন এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

Advertisements

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন করে রাজ্যের তিনটি বিমানবন্দর চালু হতে চলেছে কোচবিহার, বালুরঘাট এবং মালদা জেলায়। আগামী সপ্তাহে এই প্রতিনিধিদল আসার আগে ইতিমধ্যেই জেলাশাসকদের তরফে শুরু হয়েছে কাজ। সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় তৈরি করে জেলাশাসক সমস্ত কাজ খতিয়ে দেখছেন। এই প্রতিনিধিদল সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর দিল্লিতে রিপোর্ট জমা দেবে। এরপর কেন্দ্র খতিয়ে দেখে সবুজসঙ্কেত দিলেই চালু হবে এই তিনটি বিমানবন্দর।

Advertisements

বালুরঘাট শহর লাগোয়া মাহিনগরে যে বিমানবন্দরটি তৈরি হচ্ছে তার ৯৮% কাজ সমাপ্তির দিকে। এখানকার সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে এই নিয়ে কথাবার্তা চলছে। তারা রাজি হলেই উড়ান শুরু হয়ে যাবে। কেন্দ্র সরকার দ্রুত এই বিমানবন্দর চালু করার জন্য আগ্রহী। আগামী সপ্তাহে যে প্রতিনিধিদল আসার কথা রয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিমানবন্দর অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

Advertisements

অন্যদিকে কোচবিহারের বিমানবন্দরটি বেশ পুরাতন। তবে তার রানওয়ে সম্প্রসারণ নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এই বিমানবন্দরের রানওয়েটি ১০৬৯ মিটার থেকে ১৭০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো হবে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একটি নদীর অংশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নদীর ওপর সেতু তৈরি করে সমাধানের রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। এই বিমানবন্দরে আগে বিমান চলাচল করলেও ৯০-এর দশকে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক বিমানে উড়ে এই বিমানবন্দরের ২০১৯ সালে অবতরণ করেন।

কেন্দ্রীয় এই মন্ত্রী দাবি করেছেন, কেন্দ্র সরকার উড়ান প্রকল্পে এই বিমানবন্দর পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মালদা বিমানবন্দরের কাজ নিয়ে জেলাশাসকের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই সকল বিমানবন্দর তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন তিন জেলার বাসিন্দারা।

Advertisements