হিমাদ্রি মণ্ডল : ‘কাশ্মীরেও এত টেরোরিস্ট ধরা পড়ে না। ওখানে তারা উপরে চলে যায়। আর পশ্চিমবঙ্গে এসে সবাই ডেরা তৈরি করছে।’ রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার সিউড়িতে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই ভাবেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন।
বুধবার দলীয় কর্মসূচিতে সিউড়িতে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমাদের নেতারা আসছেন, সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করছেন, লোকের বাড়িতে খাচ্ছেন, এটা হজম করতে পারছেন না দিদিমণিরা। বাঁকুড়া গিয়েছিলেন অমিত শাহ, দিদিমণি পৌঁছে গেলেন। অমিত শাহ খাটিয়ায় বসে ছিলেন, তিনিও খাটিয়ায় বসেছেন। অমিত শাহ আদিবাসী বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেছেন, কিন্তু দিদিমণিকে কেউ ডাকলো না, খেতেও পেলেন না। সবেতো খাটিয়া, এরপর মাটিতেই বসতে হবে, মে মাসের পর। অভ্যাস করুন। উনার ঢপবাজি লোকে ধরে ফেলেছেন। উনার দলের নেতারা এত কাটমানি খেয়েছেন যে ভয়ে ঘর থেকে বেরোন না। বেরোলেই কলার ধরে বলে পয়সা দে।”
এরপরেই তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছিলেন বড় বড় হোর্ডিং লেগেছিল ‘বাংলার গর্ব মমতা’, যেই লাগলো তারপরেই আম্ফান চলে এলো। সব ঝড়ে উড়ে চলে গেল। বলছে বাড়ি বাড়ি যান। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাওয়া দাওয়া করি। আর উনার দলের নেতারা ভয়ে বের হচ্ছেন না। ওদের এক এমপি বেরিয়েছিলেন, তাকে ওদের লোকেরাই খেতে দেয় নাই। শেষে আমাদের বাড়িতে মাছ ভাত খেয়ে ছিলেন। সমাজ ওদেরকে স্বীকার করতে চাইছে না।”
এর পরেই তিনি বলেন, “আমাদের পশ্চিমবাংলার সবথেকে উপদ্রুত জেলা হচ্ছে বীরভূম। এখানে পার্টি অফিসে ঝুড়ি ঝুড়ি বোম পাওয়া যাচ্ছে, পার্টির নেতার বাথরুমে বস্তা বস্তা বোম পাওয়া যাচ্ছে। একটাই কারখানা চলে বোমের কারখানা। টেররিস্ট ধরা পড়ছে পশ্চিমবাংলায়। কাশ্মীরের এত টেরোরিস্ট ধরা পড়ে না, হয় উপরে চলে যায়। এখানে এসে এসব শেল্টার নিয়ে নিচ্ছে। মুর্শিদাবাদ থেকে দুবার তিনবার ধরা পড়ল। পুরো জাল বিস্তার করেছে। আপনারদের জেলাতেও টেরোরিস্ট ধরা পড়েছে। পশ্চিমবাংলাটা হয়ে গেছে দ্বিতীয় কাশ্মীর। সাধারণ মানুষ এটা বুঝতে পেরে পরিবর্তন চাইছেন।” তবে এই বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।