জায়গার নাম করে লকডাউনে কড়া পদক্ষেপ নিতে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাইনের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে চলছে বাজার হাট, ত্রাণ শিবির, ধর্মীয় সমাবেশ। ফলে বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২০ টি এলাকায় জারি হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। রাজ্যের এই প্রশাসনিক গাফিলতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই শিথিলতা না দেখিয়ে লকডাইন যাতে কঠোর ভাবে মেনে চলা হয় তার জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Advertisements

Advertisements

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মীয় সমাবেশগুলি বন্ধ না হওয়ায় এক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। যেখানে যেকোনো সমাবেশ থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভবনা সেখানে ধর্মীয় সমাবেশগুলির বিরুদ্ধে পুলিশ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষকে লকডাইন মেনে চলার জন্য প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করছেন। পথে নেমে নির্দেশ দিচ্ছেন। কিন্ত সেই নির্দেশ অমান্য করেই বাজারে ভীড় জমাচ্ছেন, ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কলকাতার নারকেলডাঙা , রাজাবাজার, তপসিয়া, মেটিয়াবরুজ, গার্ডেনরিচ, ইকবালপুর, মানিকতলা মতো জনবহুল এলাকাগুলিতে লকডাইনের নিয়ম না মেনেই ভিড় জমাচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। করছেন ধর্মীয় সমাবেশ। ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙায় বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ পজিটিভ আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।

Advertisements

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আশঙ্কা এর ফলে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা ও কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার রিপোর্ট জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে ওই চিঠিতে।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন লকডাইন পালনের জন্য প্রশাসন সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রশাসন যাতে অতি কড়া না হয়ে মানবিকতার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করে তারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisements