পশ্চিমবঙ্গের আরও ৬ জেলা রেড জোনে, তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা সংক্রামিতদের সংখ্যা। আর সেই সংখ্যা অনুযায়ী এবার হেরফের হলো রাজ্যের রেড জোন, অরেঞ্জ জোন ও গ্রিন জোন অন্তর্ভুক্ত এলাকা। এক ধাক্কায় রাজ্যে বাড়লো ৬টি রেড জোন। রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত হলো রাজ্যের মোট ১০ টি জেলা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রতিটি রাজ্যকে নতুন করে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা পাঠায়। সেই তালিকা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে দশটি জেলা হল রেড জোন অন্তর্ভুক্ত, ৫ টি জেলা অরেঞ্জ জোন অন্তর্ভুক্ত আর ৮ টি জেলা গ্রিন জোন অন্তর্ভুক্ত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি সপ্তাহে কেন্দ্র সরকার সংক্রমণের হার, সংক্রমণের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার হার, কতজন ব্যক্তি সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসছেন তা পর্যালোচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আগেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরকে রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর এবার এই তালিকায় যুক্ত হল এক ধাক্কায় আরও ৬ টি জেলা।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা আগের ৪ টি রেড জোন জেলা এখনো পর্যন্ত রেড জোন থেকে বের হতে পারেনি। আর এবার নতুন করে সেই তালিকায় সংযুক্ত হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও মালদহ। অর্থাৎ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেরও আরও চারটি জেলা রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত হলো। রেড জোন ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে অরেঞ্জ জোনে রয়েছে হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ। গ্রীন জোনের তালিকায় রাজ্যের যে জেলাগুলির নাম রয়েছে সেগুলি হল ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, বীরভূম, বাঁকুড়া, উত্তর দিনাজপুর।

জোন ভিত্তিক জেলার তালিকা

রেড জোনদার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতা।
অরেঞ্জ জোনমুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলি।
গ্রিন জোন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম।

 

তবে এদিন সকালে বীরভূমে একই পরিবারের ৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে।যার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বীরভূম কি আদৌ গ্রিন জোনে থাকবে, না অরেঞ্জ জোনে চলে যাবে। তবে শুধু বীরভূম নয়, গ্রিন জোনভুক্ত থাকা আলিপুরদুয়ার জেলাতেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

মুম্বাই থেকে চিকিৎসা করে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর গ্রামে অ্যাম্বুলেন্সে ফেরেন তিনজন। গত ২৭ তারিখ তাদের লালারস সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই তিনজনের রিপোর্ট যে পজিটিভ তার রিপোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। একইভাবে দিল্লি এমস থেকে চিকিৎসা করে ফেরা আলিপুরদুয়ারের চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই চারজনের মধ্যে দুজন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা ও বাকি দুজন কোচবিহারের।