নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্য শিক্ষাদপ্তর আগামী শিক্ষাবর্ষের স্কুলের ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে আর সেখানে দেখা যাচ্ছে যে গরমের ছুটি কমে পুজোর ছুটির সংখ্যা বেড়েছে। আবার নতুন ছুটির তালিকাতে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি ছুটি নতুন সংযোজিত হয়েছে। ফলে ছুটির সংখ্যা বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থীরা বেজায় খুশি।
২০২১-এ সরকারি স্কুলগুলিতে মে মাসের ২৪ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকবে। ফলে গরমের ছুটি থাকছে ১১ দিন। অন্যদিকে পুজোর ছুটি থাকবে ১১ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত। টানা ২৬ দিন থাকছে পুজোর ছুটি। গরমের ছুটি কমা ও পুজোর ছুটি বাড়ার পাশাপাশি দুটি ছুটি নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে। ১) ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন। ২) হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন।
আগামী বছর মোট ৬৫ দিন ছুটি থাকছে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে। আবার দার্জিলিং কালিম্পং জেলা স্কুলগুলিতে একটি দিন অতিরিক্ত ছুটি ঘোষিত হয়েছে নেপালী কবি ভানুভক্ত জন্মদিন উপলক্ষে। ১৩ই জুলাই নেপালী কবি ভানুভক্ত এর জন্মদিন তাই ঐদিন দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার স্কুলগুলিও ছুটি থাকবে।
এছাড়া প্রতিবারের মত যেসব স্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পড়বে সেই সকল স্কুলগুলিতে অতিরিক্ত ছুটি থাকবে। মাধ্যমিকের জন্য নয় দিন ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্য ১৩ দিন ছুটি পাবে সেই সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়া স্কুলগুলি বছরে অতিরিক্ত আরও ৫ দিন ছুটি নিতে পারবে। সেই অধিকার দেওয়া হয়েছে এইবার। তবে এই পাঁচ দিন ছুটি কীভাবে নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছট পুজোর জন্য আগামী বছর থেকে দুদিন ছুটি দেওয়া হবে।
সবকিছু মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে যে ২০২১ এর শিক্ষাবর্ষে পঠনপাঠনের জন্য ২৩৬ দিন ধার্য করা হয়েছে। আর যে সকল স্কুলে মাধ্যমিকের সিট পড়বে সেখানে ২২৭ দিন আর উচ্চমাধ্যমিকের সিট পড়া স্কুলগুলিতে ২২৩ দিন ধার্য হয়েছে।
এই ছুটির তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষক মহলের একাংশ খুশি হলেও একাংশ দ্বিমত পোষণ করেছেন। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আনন্দ কুমার হান্ডার কথায়, “এই বছর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী আবার অক্ষয় কুমার দত্তেরও তাই, এই দিকটি বিবেচনা করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছুটির তালিকা বিবেচনা করা উচিত ছিল সরকারের।”
এই সংগঠনের বক্তব্য হলো, “রাজ্যের কিছু মনীষী আঞ্চলিক স্তরে যথেষ্ট জনপ্রিয় ও সমাদৃত। ভানুভক্তের মত সেইসকল মনীষীদের ক্ষেত্রে ও আঞ্চলিক স্তরে ছুটি ঘোষণা করতে পারতেন সরকার।”
তবে এই প্রসঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে মনীষীদের নাম বিবেচনা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করা হবে। সরকার সেইসব ক্ষেত্রে বিবেচনা করে সম্মতি দিলে ছুটির সংখ্যা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ ছুটির তালিকা বাড়ায় শিক্ষক মহল থেকে শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটেছে।