Weaver’s Allowance: আধার, প্যান দিয়ে অ্যাকাউন্টে মিলবে ৫০০০ টাকা, পাবে ছেলে-মেয়ে সবাই, ভ্যালভ্যাল করে দেখবে লক্ষ্মীর ভান্ডার

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন দিক দিয়ে সাহায্য করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প চালু করেছে। সেরকমই এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ডের তথ্য জমা দিয়ে অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকা দেওয়ার জন্য একটি বন্দোবস্ত করা হলো। রাজ্য সরকারের এমন বন্দোবস্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

Advertisements

আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দিক দিয়ে রাজ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার কেবলমাত্র মহিলাদের দেওয়া হয়, কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে ছেলে মেয়ের কোন পার্থক্য থাকবে না। যে কারণে এই বন্দোবস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যালভ্যাল করে তাকিয়ে দেখবে লক্ষ্মীর ভান্ডার।

Advertisements

এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কারা এই টাকা পাবেন এবং কোন পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এমন টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে? রাজ্য সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যের তাঁত শিল্প ও তন্তুজীবীদের জন্য কোন ঘোষণা তো দূরের কথা বরাদ্দটুকু করা হয়নি। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁতিদের জন্য রাজ্য সরকার এমন বন্দোবস্ত করেছে। এই বন্দোবস্তের পরিপ্রেক্ষিতে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Tenants: ভুয়ো ভাড়াটিয়াদের মাথায় পড়বে বাজ! রাজ্য পুলিশের পদক্ষেপে ঝট করে পড়বে ফাঁদে

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁতিদের কথা মাথায় রেখে এবার এককালীন কো অপারেটিভ ব্যাংকের ঋণ মুকুব, এককালীন ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য, সুতো ক্রয় করার ক্ষেত্রে ১০% ছাড়, তাঁতঘর মেরামতি করা থেকে শুরু করে সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদির জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁতঘর মেরামতি থেকে শুরু করে সরঞ্জাম কেনা ইত্যাদির জন্যই এককালীন ৫০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি ৬০ বছরের কম বয়সী কোন তাঁত শিল্পী বা তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারের সদস্যদের এককালীন দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। এই সকল সুবিধা পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন পত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে সকল হ্যান্ডলুম অফিস রয়েছে সেই সকল অফিসে আবেদন পত্র গ্রহণ চলছে। যেমন শান্তিপুরের হ্যান্ডলুম অফিসে সকাল দশটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত আবেদন পত্র গ্রহণের কাজ চলছে। রাজ্য সরকারের এমন ব্যবস্থাপনায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি রাজ্যের তাঁত শিল্পীরা।

Advertisements