নিজস্ব প্রতিবেদন : যখন দরকার তখন হয়নি, তবে অসময়ে একের পর এক নিম্নচাপের (Depression) কারণে মাঝেমধ্যেই বৃষ্টিতে (Rain) ভাসতে দেখা যাচ্ছে উত্তর (North Bengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। আর এবার যখন সামনেই পুজো, ঠিক সেই সময়ই পুজোর আগেই নতুন করে একটি নিম্নচাপের অশনি সংকেত মিলেছে। আর সেই নিম্নচাপের দৌলতে পুজোর আগেই দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা বৃষ্টিতে ভাসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্গাপুজোর আগে একটি নিম্নচাপ বাংলার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন হাওয়া অফিস সূত্রে বিভিন্ন তথ্য মিলছিল। এমনকি আন্তর্জাতিক এক আবহাওয়াবিদ জানিয়েছিলেন, বঙ্গোপসাগরে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে ভূভাগে আছড়ে পড়তে পারে। যদিও মৌসম ভবন (IMD) ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে এখনো কোনো রকম সংকেত দেয়নি।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শুক্রবার উত্তর আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। সেই ঘূর্ণাবর্ত শনিবার নিম্নচাপে পরিণত হবে। ঘূর্ণাবর্তটি শক্তি বাড়িয়ে মায়ানমার উপকূলে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর এর প্রভাবেই শনিবার থেকে আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় আকাশ মেঘলা থাকবে। আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি বৃষ্টির সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না।
এই নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের যে সকল জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়বে এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলতো পুজোর আগে ফের একবার ভাসবে উত্তরবঙ্গ বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে এই নিম্নচাপের প্রভাবের আগে আবার দক্ষিণবঙ্গে নাভিশ্বাস অবস্থা চলবে। একদিকে মেঘলা আকাশ অন্যদিকে আদ্রতাজনিত কারণে অস্বস্তি চরমে পৌঁছাবে। এমনিতেই বুধবার থেকে এমন অস্বস্তি শুরু হয়েছে এবং এই অস্বস্তি শনিবার পর্যন্ত চলতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এসবের মধ্যেই আবার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুজোর সময় বৃষ্টি আবার অসুর হয়ে না দাঁড়ায়।