Kiran Dutta: ভুত দেখেছেন কখনো, ভূত নিয়ে এ কি বললেন কিরণ দত্ত

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Kiran Dutta: যখন কেউই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে তার মাধ্যমে রোজগার করা যায় তা ভাবতে পারেনি, তখন বাংলার অতি সাধারণ ছেলে তা করে দেখিয়েছেন। তিনি আর কেউ নয়, সকলের পছন্দের বং গাই কিরণ দত্ত (Bong Guy Kiran Dutta)। বাংলার ডিজিটাল স্টার কিরণ দত্ত সম্প্রতি ভূত নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাসের কথা শেয়ার করেছেন। তিনি খোলাখুলি বলছেন, “আমি ভূতে বিশ্বাস করি না, তবে ভয় পাই।” এই কথার মাধ্যমে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, ভূতের ব্যাপারে তাঁর মনোভাব মিশ্রিত। যখনই তিনি ভূতের সিনেমা বা পডকাস্ট শুনেন, তখন হাসি আসে, কিন্তু রাতের অন্ধকারে একা থাকার সময় এক অদৃশ্য আতঙ্ক তাকে গ্রাস করে।

Advertisements

কিরণ আরো বলেন, “জীবনের সবচেয়ে বড় ভূত হচ্ছে খারাপ মানুষ।” তিনি বিশ্বাস করেন যে, ভূতের সিনেমাগুলোর ভূতরা অকারণে ক্ষতি করার জন্য আসে না; বরং তাদের পিছনে কোনও অতীতের ঘটনা থাকে। বাস্তব জীবনে, তিনি মনে করেন, খারাপ মানুষের আচরণ আমাদের জীবনে সবচেয়ে বড় ভয়। মানুষের মধ্যে যে অন্ধকারতা রয়েছে, সেটাই প্রকৃত ভয় হিসেবে কাজ করে।

Advertisements

আরো পড়ুন: খাবার খেয়ে চোখের জল ধরতে পারলেন না কিরণ দত্ত, কোথায় গিয়েছিলেন বং গাই

তবে কিরণের (Bong Guy Kiran Dutta) জীবনে এখনও পর্যন্ত কোনো ভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়নি। তিনি জানান, “বন্ধুদের কাছে শুনেছি বিভিন্ন ভূতাত্মার গল্প, কিন্তু আমার তেমন কিছু হয়নি।” তবে এক রাতের ঘটনায় তিনি ভীত হয়েছিলেন। সেই রাতে, ভোর তিনটার দিকে যখন জল খেতে উঠেছিলেন, তখন তিনি এক ঘরের দরজা খোলা দেখে ভীত হন। তাঁকে মনে হয়েছিল, কেউ সেই ঘরে বসে আছে।

Advertisements

আরো পড়ুন: নিজের অ্যাকাউন্টে এক টাকাও নেন না বং গাই কিরণ! ইউটিউবারের লাখ লাখ টাকা যায় অন্যের অ্যাকাউন্টে

এই পরিস্থিতির কারণে, তিনি একটি পরিচিত বন্ধুকে ফোন করেন। এই ফোনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে কিছুটা নিরাপদ মনে করছিলেন। দরজা খুললে, দেখেন সেখানে কেউ নেই। তিনি স্মরণ করেন, “ভয়টা অনুভব করেছিলাম, কিন্তু কি হয়েছিল তা জানি না।” কিরণের এই অভিজ্ঞতা তাকে বোঝাতে সাহায্য করে যে, জীবনের ভয়গুলো একান্তই মানুষের আচরণ ও পরিস্থিতির সঙ্গে জড়িত।

এই বক্তব্যগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, বাস্তব জীবনের ভয়ের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের নিজেদের মানসিকতা ও পরিবেশের উপর নজর রাখতে হবে। কিরণের অভিজ্ঞতা ও চিন্তা-ভাবনা আমাদের অনুপ্রাণিত করে যে, ভৌতিক বিষয়গুলো যতই ভীতিকর মনে হোক, প্রকৃত ভয় আমাদের চারপাশের খারাপ মানুষের আচরণে নিহিত।

Advertisements