What happens to the body when cycling every day: মানুষ কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সর্বদাই সচেতন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির পর থেকে এই সচেতনতা মানুষের মধ্যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ব্যস্ত জীবনেও মানুষ সময় বার করে নিজের জন্য সবসময় ভাবে। নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রতিনিয়ত নানারকম শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজন। সাইকেল (Cycling) চালিয়ে হোক কিংবা জিমে ব্যায়াম করে নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করছেন প্রায় সকলেই।
আপনারা কি জানেন ফিট থাকার জন্য সাইকেল চালানো খুবই দরকারি? ইদানীং তরুণ প্রজন্ম তাদের শরীর নিয়ে খুবই সচেতন তাই তারা ওয়ার্কআউট রুটিনে বেছে নিচ্ছে সাইক্লিং (Cycling)। আসলে সাইকেল চালানো আমাদের শরীরের পক্ষে যথেষ্ট প্রয়োজনীয় এবং এতে ১০০ শতাংশ সুফল পাওয়া যায়। তবে সাইক্লিং ওয়ার্কআউট সম্পর্কে অনেকের মনেই অনেক প্রশ্ন আছে। যেমন, সাইকেল চালালে কী উপকার হতে পারে? কখন সাইকেল চালানো উচিত? কতদিনের জন্য এবং কীভাবে এটি করতে হবে ইত্যাদি।
বিশিষ্ট ফিজিওথেরাপিস্ট কি বলেছেন এই বিষয়ে? সাইকেল চালানো (Cycling) অন্য ব্যায়ামের চেয়ে অনেকটাই ভাল। যদি কোনও ব্যক্তি ঠিক করেন প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখবেন, তাহলে হাঁটার ফলে সেই ব্যক্তির পেশী এবং রক্ত সঞ্চালন প্রভাবিত হবে।
আরও পড়ুন ? Skin care tips: ৪০ বছর বয়সেও ২৫ বছরের যৌবনে ভরা ত্বক! মানতে হবে এই ৪ টোটকা
আপনাদের জেনে রাখা দরজার যে, সাইকেল চালানো এমন একটি ব্যায়াম যা একজন ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। ডা. পবনকুমার পটেল বলেছেন যে, সাইকেল চালানো (Cycling) শরীরের বিভিন্ন অঙ্গকে প্রভাবিত করে খুব সহজেই। প্রথমে আপনার পেশী প্রভাবিত হবে এরফলে। মাংসপেশীতে জমে থাকা যাবতীয় ক্ষতিকর পদার্থ পুড়ে যাবে সাইকেল চালালে। মাংসপেশীর পর রক্তে থাকা ক্ষতিকর উপাদানগুলিও বের হয়ে যায়। নিয়মিত সাইকেল চালানোর ফলে শরীরে জমে থাকা কোলেস্টেরলও পুড়ে যায়।
সাইকেল চালালে প্রধান উপকার যেটা হয় তা হলো ফ্যাট বার্নিং। যদি কেউ প্রতিদিন সাইকেল চালায় তাহলে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল কমে যায় এবং চর্বি জ্বলতে থাকে। শরীরকে ঠিক রাখতে সেই ব্যক্তির উচিত প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট সাইকেল চালানো। এরফলে হৃদযন্ত্র এবং মন দুটোই সুস্থ থাকবে।শারীরিক আলস্য কিন্তু হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত সাইকেল চালালে রক্ত চলাচল অনেকটাই ভালো হয় এবং হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।