রামপুরহাট কাণ্ডের পর রাজ্যে কি ৩৫৫, কি রয়েছে এই ধারায়

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার রাত থেকে উত্তপ্ত বীরভূমের রামপুরহাট। তবে এই উত্তেজনার আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়বে তা হয়তো কেউ ভাবতে পারেননি। প্রথমে এই ঘটনার সূত্রপাত তৃণমূল উপপ্রধানের খুনকে কেন্দ্র করে। কিন্তু তারপরেই দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন।

সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বগটুই গ্রামের কাছে ১৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমার আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে ১০ জনের বিরুদ্ধে। এরপরেই রাত গড়াতে শুরু হয় নৃশংস হত্যাকাণ্ড।

যাদের বিরুদ্ধে উপপ্রধানকে বোমা ছুড়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তাদের ঘরবাড়িতে শুরু হয় অগ্নিসংযোগ এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর অত্যাচার। এই ঘটনায় বগটুইয়ে কেবলমাত্র একটি ঘর থেকেই উদ্ধার হয় সাতজনের জ্বলন্ত দগ্ধ মৃতদেহ। সরকারি দাবি অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৮। যদিও জীবিত পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃত ১০। যাদের মধ্যে রয়েছে মহিলা এবং শিশু।

এই ঘটনার পরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজ্যের কাছে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় একটি দল রামপুরহাট আসতে চলেছে বলেও জানা যাচ্ছে। বিজেপির তরফ থেকে বারংবার ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি তোলা হচ্ছে। একইভাবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী মনে করছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে আর্টিকেল ৩৫৫ প্রয়োগ করার সময় এসেছে। এরপরেই কৌতূহল ৩৫৫ ধারা কি?

৩৫৫ ধারা হলো বাইরের আগ্রাসন ও ঘরোয়া গন্ডগোল থেকে রাজ্যকে রক্ষা করা কেন্দ্রের কর্তব্য। এই ধারাতে বলা হয়েছে, “It shall be the duty of the union to protect every state against external aggression and internal disturbance and to ensure that the government of every state if carried on in accordance with the provision of constitution”।

অর্থাৎ এই ধারা প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে অথবা হিংসা দমনে কেন্দ্র সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও এই ধারার প্রয়োগ হয়েছে। পাহাড়ের হিংসা দমনে কলকাতা হাইকোর্ট এই ধারা মাথায় রেখেই কেন্দ্রকে আধাসামরিক বাহিনী পাঠাতে বলেছিল।